চৌগাছায় হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি, অতিষ্ট পথচারী ও ব্যবসায়ীরা

0

এম এ রহিম চৌগাছা (যশোর) যশোরের চৌগাছায় হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি করায় অতিষ্ট হয়ে উঠেছে পথচারী ও ব্যবসায়ীরা। পৌরশহরসহ উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে চলছে হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি। হাতি দিয়ে অভিনব কায়দায় চাঁদাবাজির কারণে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে ব্যবসায়ী, পথচারী ও স্থানীয় মানুষ।
সরজমিনে দেখা গেছে, গত বুধবার ও বৃহ¯পতিবার এই দুদিন উপজেলার ফাঁসতলা বাজার, চাঁদপাড়া বাজার, বন্দুলিতলা বাজার, টেঙ্গুরপুর মোড়, হাকিমপুর বাজার, পুড়াপাড়া, সিংহঝুলী বাজার ও পৌরসভাসহ পাতিবিলা বাজার, দেবীপুর বাজার ও পাশাপোল ইউনিয়নের পাশাপোল বাজার, খলশিবাজারে ব্যবসায়ী পথচারী ও স্থানীয়দের কাছে হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি করতে।
পৌর শহরের একাধিক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও হোটেল মালিক জারিফ হোসেন বলেন, আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই বাজারের বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে শনু ডাক্তারের মোড় হয়ে ব্রীজঘাট পর্যন্ত দুজন মিলে একটি বড় হাতি নিয়ে প্রতিটি দোকানে হানা দেন। দোকানপ্রতি কমপক্ষে ২০ থেকে ৫০ টাকা করে আদায় করা হয়। হাতি নিয়ে দোকানের সামনে এসে তারা দাঁড়ান, টাকা না দেয়া পর্যন্ত সেখান থেকে হাতি সরানো হচ্ছে না। এভাবে টাকা আদায়ের কারণে বেচা-কেনায় ও ব্যাপক সমস্যা হচ্ছে। কোন দোকানদার ২ টাকা বা ৫ টাকা দিলে হাতির শুড় দিয়ে দোকানের মালামাল ফেলে দিতে দেখা গেছে। চৌগাছা বাজারের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী কবির হোসেন ক্ষোভের সাথে বলেন, ২/৩ মাস পরপর বিভিন্ন এলাকা থেকে হাতি নিয়ে এসে চাঁদা আদায় করা হয়। বিষয়টি দেখার যেন কেউ নেই।
বৃহস্পতিবার দুপুরে চৌগাছা পৌর শহরের বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে দেখা যায়, বড় হাতির পিঠে বসে একজন হাতিটিকে পরিচালনা করছেন। তার এই কাজে সহযোগিতা করছেন নিচে থাকা এক সহযোগী। হাতি শুর দিয়ে দোকানীর কাছ থেকে টাকা নিয়ে নিচে থাকা এক সহযোগীকে দিচ্ছেন। প্রতিটি দোকান থেকে হাতি দিয়ে টাকা তোলা হয়। টাকা না দেয়া পর্যন্ত দোকান থেকে হাতি সরানো হচ্ছে না।
হাতি পরিচালনাকারী রাসেল হোসেন বলেন, আমরা দুটি হাতি নিয়ে বিভিন্ন এলাকা থেকে খাবারের জন্য কিছু টাকা সংগ্রহ করে থাকি। তবে টাকা নেয়ার সময় কাউকে জোর করা হয় না। লোকজন স্বেচ্ছায় যা দেয়, তাই নেয়া হয়।
চৌগাছা বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ইবাদৎ হোসেন বলেন, এসব হাতির খাবার দেওয়াসহ যাবতীয় দায়িত্ব মালিকের। হাতি দিয়ে টাকা আদায়ের কোনো সুযোগ নেই। এটা চাঁদাবাজি এদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার জন্য সকলকে আহ্বান জানাচ্ছি।
এ ব্যাপারে চৌগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রকৌশলী এনামুল হক বলেন, হাতি দিয়ে বা ব্যক্তি মালিকাধীন পশু দিয়ে টাকা আদায়কারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।