কেন কমছে না করোনার সংক্রমণ

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ বিশ্বে করোনার প্রাদুর্ভাবের পর ছয় মাস পেরিয়ে গেছে। ইতোমধ্যে এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা এক কোটি ছাড়িয়েছে। কিছু দেশে আক্রান্তের সংখ্যা কমে এলেও কিছু দেশে দ্রুত গতিতে বাড়ছে সংক্রমণ। আবার কিছু দেশে দ্বিতীয় দফায় করোনার সংক্রমণ শুরু হয়েছে। লকডাউন, সামাজিক বিধিনিষেধ, কোয়ারেন্টাইন এতো কিছুর পরও কেন কমছে না এই ভাইরাসটির সংক্রমণ? সোমবার এই প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক টেডরস আধানম গেবরিয়াসাস।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালকের মতে, করোনার সংক্রমণ কমিয়ে আনা বা নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার প্রধান কারণ হচ্ছে, ভাইরাসের বিস্তার রোধে বৈশ্বিক একতা ও সংহতির অভাব। করোনার সংক্রমণের সবচেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি এখনও আসেনি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমি দুঃখের সঙ্গে এটা জানাচ্ছি। কিন্তু এই ধরনের পরিবেশ ও পরিস্থতিতে আমরা সবচেয়ে ভয়াবহতার আশঙ্কা করছি।’ করোনা মোকাবিলায় দক্ষিণ কোরিয়াসহ বেশ কয়েকটি দেশকে অনুসরণের পরামর্শ দিয়েছেন আধানম। কন্ট্যাক্ট ট্রেসিং পদ্ধতির মাধ্যমে দক্ষিণ কোরিয়াসহ কয়েকটি দেশ স্বল্প সময়ের মধ্যে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে। কন্ট্যাক্ট ট্রেসিং সংক্রামক রোগ ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে ব্যবহার করা হয়। এই পদ্ধতি ব্যবহার করে রোগীদের বলা হয়, তারা যেসব মানুষের সাথে ঘনিষ্ঠ হয়েছেন তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে। যেসব মানুষ দীর্ঘ সময় ধরে আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এসেছেন তাদেরকে আইসোলেশনে যেতে বলা হয়। এটা সাধারণত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির বন্ধু ও পরিবারের সদস্যদের ফোনের মাধ্যমে জানানো হয়। সাথে একটা স্বয়ংক্রিয় লোকেশন ট্র্যাকিং মোবাইল অ্যাপও সংযুক্ত করা হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বলেন, ‘কন্ট্যাক্ট ট্রেসিং ব্যবহার না করার কোনো অজুহাত থাকতে পারে না। কোনো দেশ যদি বলে কন্ট্যাক্ট ট্রেসিং কঠিন, তাহলে তা হবে খোঁড়া যুক্তি।’ তিনি বলেন, ‘আমরা সবাই এর শেষ চাই। আমরা সবাই আমাদের জীবনে ফিরে যেতে চাই। তবে কঠিন বাস্তবতা হচ্ছে, এটা খুব শিগগিরই শেষ হচ্ছে না।’