কেশবপুরে বিকল্প ব্যবস্থা না রেখে কালভার্ট তৈরি এলাকাবাসীর দূর্ভোগ

0

জয়দেব চক্রবর্ত্তী, কেশবপুর (যশোর) কালভার্ট তৈরি হলেও দু’পাশে মাটি ভরাট না করায়যাতায়াতে এলাকার মানুষকে পড়তে হয়েছে বিপাকে।মই তৈরি করে এলাকাবাসীকেকালভার্টের উপরদিয়ে ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। বিকল্প ব্যবস্থা না রেখে কালভার্ট তৈরি করায় ভোগান্তিতে এলাকার মানুষ।এলাকাবাসীর অভিযোগদীর্ঘদিন ধরে কালভার্ট তৈরির কাজ শেষ হলেও দু’পাশে মাটি ভরাট না করে ফেলে রাখা হয়।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের উদ্যোগে সেতু/কালভার্ট নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় কেশবপুর উপজেলার মধ্যকুল পাঁকা রাস্তা হতে বাচ্চুর বাড়ীর অভিমুখে রাস্তার উপর ওই কালভার্টটি নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়। এলাকাবাসী জানায়,লুৎফর রহমান নামে একজনঠিকাদার ঈদের আগে কালভার্ট তৈরির কাজ শেষ করে পাশেমাটি ভরাট না করে ফেলে রাখে। মধ্যকুল গ্রামের রিপন হোসেন বলেন, কালভার্টের পাশে মাটি না দেওয়ার কারণে তারা মই তৈরি করে যাতায়াত করছিল। বর্তমানে বর্ষা শুরু হওয়ায় মই বেয়ে কালভার্টের উপর উঠা-নামা করা না যাওয়ায় পড়তে হয়েছে বিপাকে। বিশেষ করে নারী ও শিশুদের যাতায়াতে খুবই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। ওই রাস্তার সন্নিকটে বসবাসকারী বাচ্চু বলেন, এ রাস্তা দিয়েই তাদের প্রতিনিয়ত যাতায়াত করতে হয়। কালভার্টের পাশ দিয়ে বিকল্প রাস্তা না করায় যাতায়াতে ভোগান্তি বেড়েছে। গ্রামের বাসিন্দা রেকসোনা খাতুন বলেন, বাচ্চাদের নিয়েমই বেয়ে কালভার্টের উপর উঠা-নামা করতে ভয় লাগে।
ঠিকাদার লুৎফর রহমানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, কালভার্টটির পাশে মাটি ভরাটের কাজ শুরু হয়েছে। দু’একদিনের ভেতর এলাকার মানুষের যাতায়াতের উপযোগী হয়ে যাবে। তখন কোন সমস্যা থাকবে না।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মুহাম্মদ রিজিবুল ইসলাম বলেন, ৩০ জুনের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা। ঠিকাদারকে কালভার্টের দু’পাশে মাটি ভরাট করার জন্য বলা হয়েছে। এরপরও যদি স¤পূর্ণ মাটি ভরাট করা না হয় তাহলে এলাকার মানুষের যাতায়াতের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা করা হবে।