শার্শা ও বেনাপোল লকডাউন এলাকায় দোকান খোলা, তদারকি নেই

0

শার্শা (যশোর) সংবাদদাতা ॥ করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে শার্শা উপজেলায় ঝুঁকিপূর্ণ একাধিক এলাকা লকডাউন ঘোষণা করা হলেও কেউ আইন মানছে না। যে কারণে শার্শা ও বেনাপোল এলাকায় করোনার ঝুঁকি বেড়েই চলেছে। বেনাপোল পৌরসভার কয়েকটি ওয়ার্ড যেমন দুর্গাপুর রোড,বাহাদুরপুর রোড সম্পূর্ণরুপে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। অপরদিকে শার্শার নাভারণ রেল বাজার, রেলরোড, বুরুজবাগান, কাজিরবেড় সহ কয়েকটি এলাকা লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। ‘রেড জোন’ ঘোষিত এসব এলাকার দোকানপাট ও হাটবাজার বন্ধ থাকার কথা থাকলেও তা খোলা হচ্ছে। এসব তদারকিতে চলছে পুলিশসহ বিভিন্ন আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর টহলদান। লোকজনকে ঘরে থাকার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে প্রশাসনের প থেকে। এ ছাড়া লকডাউনের এলাকায় বাঁশের বেড়া দিয়ে তাতে ব্যানার টাঙিয়ে এর কার্যক্রম বাস্তবায়ন করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। এ ব্যাপারে শার্শা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) খোরশেদ আলম চৌধুরী অভিযান পরিচালনা করছেন শার্শা উপজেলার ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা। দেখা গেছে, শার্শা ও বেনাপোল এলাকার বাজার গুলো প্রশাসন বন্ধ করে যাওয়ার দু/এক মিনিটের মধ্যেই আবার দোকান খোলা হচ্ছে। অনেকে দোকানের সামনে বসে খরিদ্দার ডেকে নিয়ে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন রাত অবধি। শার্শা ও বেনাপোল এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, বাজারগুলোতে সকল প্রকার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা। কোনো স্বাস্থ্য বিধির বালাই নেই। সিংহ ভাগ মানুষ মুখে মাস্ক ব্যবহার করছেন না। শার্শা ও বেনাপোল এলাকায় ইঞ্জিনভ্যান, ইজিবাইক, নসিমনে স্বাস্থ্য বিধি মানা হচ্ছে না। আগের থেকে দ্বিগুন ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। এ সব ব্যাপারে প্রশাসনের কোন তদারকি নেই। নেই স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কোনো ভূমিকা। এ ব্যাপারে শার্শা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) খোরশেদ আলম চৌধুরী জানান, করোনাভাইরাস সংক্রমণ এড়াতে উপজেলার অধিক ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলো ‘রেড জোন’ ঘোষণা করে একটি আদেশ জারি করেছে জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ। মানুষ কারণে-অকারণে নানা অজুহাতে বাইরে চলাচলের চেষ্টা করছেন। অকারণে বাইরে বের হওয়া মানুষগুলোকে বুঁঝিয়ে আবার বাড়ি ফেরত পাঠানো হচ্ছে। সরকারি নির্দেশনা অমান্য করলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।