মনিরামপুরে স্কুলের খেলার মাঠজুড়ে রাখা সড়ক নির্মাণ কাজের সামগ্রী

0

স্টাফ রিপোর্টার, মনিরামপুর (যশোর) ॥ যশোরের মনিরামপুরে খানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের খেলার মাঠে চলছিল বঙ্গবন্ধু ফুটবল টুর্নামেন্ট। কিন্তু হঠাৎ করেই করোনা আতঙ্কে টুর্নামেন্ট স্থগিত করা হয়েছে। আর এ সুযোগে খেলার মাঠজুড়ে রাখা হয়েছে নেহালপুর সড়ক নির্মাণের ইট, খোয়া, মাটিসহ যাবতীয় সামগ্রী। অভিযোগ রয়েছে, নির্মাণ সামগ্রী রাখতে নিষেধ করায় ঠিকাদারের পক্ষ থেকে পুলিশ দিয়ে তাদের শাসানো হয়েছে। ফলে এলাকাবাসীর মধ্যে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে। তবে পুলিশ এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে। খানপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি গাজী মোহাম্মদ আলী জানান, খানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে সপ্তাহব্যাপী বঙ্গবন্ধু ফুটবল টুর্নামেন্ট চলছে। আর এ টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হবার কথা ছিল ২৭ মার্চ। কিন্তু করোনা ভাইরাস আতঙ্কে টুর্নামেন্ট স্থগিত করা হয়েছে। আর এ সুযোগে মনিরামপুরের মোহনপুর-নেহালপুর-কপালিয়া সড়ক নির্মাণের টিকাদারি প্রতিষ্ঠান এস আর এন্টারপ্রাইজের পক্ষ থেকে খানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠজুড়ে ইট, খোয়া, মটিসহ নির্মাণ সামগ্রী রাখা হয়েছে।
রবিবার দুপুরে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ট্রাকে করে বিদ্যালয়ের মাঠে ইট-মাটি ফেলা হচ্ছে। এ সময় কথা হয় ইব্রাহিম হোসেন নামে এক ব্যক্তির সাথে। তিনি নিজেকে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান এস আর এন্টারপ্রাইজের ম্যানেজার দাবি করে জানান, যেহেতু ফুটবল টুর্নামেন্ট স্থগিত করা হয়েছে তার ওপর এ সড়কটি দ্রুত নির্মাণের তাগিদ থাকায় সংশ্লিষ্টদের অনুমতি নিয়েই স্কুলের এই মাঠটি ব্যবহার করা হচ্ছে। তিনি আরো জানান, শুধু এ মাঠ নয়, মনোহরপুর কারিগরি কলেজ মাঠেও নির্মাণ সামগ্রী রাখা হচ্ছে। এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু তালেব জানান, তার কাছ থেকে কোন অনুমতি না নিয়েই খেলার মাঠে নির্মাণ সামগ্রী ফেলা হয়েছে। এ সময় ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি অলিয়ার রহমানসহ স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, নির্মাণ সামগ্রী মাঠে রাখার সময় বাধা দেওয়ায় শনিবার বিকেলে পুলিশ দিয়ে তাদেরকে শাসানো হয়েছে। তবে মনিরামপুর থানার সেকেন্ড অফিসার এস আই দিবাশীষ মন্ডল এ অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, গোলযোগের খবর পেয়ে পুলিশ ওই এলাকায় গিয়েছিল। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাজেদা খাতুন জানান, খেলার মাঠে নির্মাণ সামগ্রী রাখার ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না। উপজেলা প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম এ ব্যাপারে কোন সদুত্তোর দিতে পারেননি।