খেলার খবর

0

শোচনীয় হোয়াইটওয়াশের লজ্জা ভারতের
স্পোর্টস ডেস্ক॥ কেলেঙ্কারির ইতিহাস গড়ল ভারত। টি২০তে টানা পাঁচটি ম্যাচ জিতে কিউইদের হোয়াইটওয়াশ করলেও একদিনের সিরিজে ০-৩ ফলাফলে হারতে হলো। টি২০-র প্রতিশোধ নিয়ে ভারতকে হোয়াইটওয়াশ করল কিউইরা। ভারতের ২৯৭ রানের চ্যালেঞ্জ নিউজিল্যান্ড পেরিয়ে গেল ১৭ বল বাকি থাকতেই। হাতে পাঁচ উইকেট নিয়ে। প্রায় ৩০০ রান তাড়া করতে নেমে নিউজিল্যান্ডের হয়ে ব্যাট হাতে নায়ক দুই ওপেনার- মার্টিন গুপ্টিল (৬৬) ও হেনরি নিকোলস (৮০)। ওপেনিং পার্টনারশিপে ১০৬ উঠে যাওয়ার পরে বাকি কাজ সম্পন্ন করেন কেন উইলিয়ামসন (২২), কলিন গ্র্য়ান্ডহোম (৫৮) এবং টম ল্যাথামরা (৩২)। ওপেনিং জুটিতে গুপ্টিল-নিকোলস শতরান করে দেয়ার পর বাকিদের কাজ আরো সহজ হয়ে গিয়েছিল। তার আগে ভারতের হয়ে ব্যাটিং করতে নেমে দারুণ শতরান করে দলকে টেনেছিলেন লোকেশ রাহুল। ১১৩ বলে ১১২ রান করে ভারতের ত্রাতার ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল লোকেশ রাহুলকে। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ভারত স্কোরবোর্ডে ৬২ তোলার ফাঁকেই তিন ব্যাটসম্যানকে হারিয়েছিল। বিরাট কোহলি, মায়ঙ্ক আগারওয়াল রান না পেলেও রানের দেখা পেয়েছিলেন পৃথ্বী। একদিনের ক্রিকেটে প্রথম হাফ সেঞ্চুরি র দিকেও এগোচ্ছিলেন তিনি। তবে ব্যক্তিগত ৪০ রানের মাথায় ফিরতে হয়েছিল তাকে। তিন উইকেট হারিয়ে ভারত যখন রীতিমতো বেকায়দায় সেই সময়েই দলের হাল ধরেছিলেন শ্রেয়াস আইয়ার ও লোকেশ রাহুল। দুজনে চতুর্থ উইকেটে ১০০ রানের পার্টনারশিপও গড়েন। ভারতের এই জুটিতে ভাঙ্গন ধরান জিমি নিশাম। ৬৩ বলে ৬২ রানে ক্রিজে ব্যাটিং করা আইয়ারকে ফিরিয়ে জোর ধাক্কা দেন তিনি। এরপর মনীশ পাণ্ডের সঙ্গে কার্যকরী জুটি গড়ে তোলেন লোকেশ। দুজনে ভারতকে ২৬৯ অবধি পৌঁছে দিয়ে তিন শ’ রানের স্বপ্ন দেখাচ্ছিলেন। সেই সময়েই ৪৭তম ওভারে দুজনকে পরপর দুবলে ফিরিয়ে দেন হামিশ বেনেট। মনীশ পাণ্ডে ফেরেন ব্যক্তিগত ৪২ রানে। এরপর ভারত তিন শ’র গণ্ডি পেরোতে পারেনি। কিউইরা এই রান তাড়া করেই অনায়াসে জয় ছিনিয়ে নিলেন।
ভারত একাদশ : পৃথ্বী শ, মায়াঙ্ক আগারওয়াল, বিরাট কোহলি, শ্রেয়স আইয়ার, কেএল রাহুল, মণীশ পাণ্ডে, রবীন্দ্র জাদেজা, শার্দুল ঠাকুর, কুলদীপ যাদব, জসপ্রীত বুমরা, মহম্মদ শামি।
নিউজিল্যান্ড একাদশ : মার্টিন গুপ্টিল, হেনরি নিকোলস, কেন উইলিয়ামসন, রস টেলর, টম ল্যাথাম, জিমি নিশাম, কলিন গ্র্যান্ডহোম, মিচেল স্যান্টনার, কাইল জামেসন, টিম সাউদি ও হামিশ বেনেট।

আইসিসি’র অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপের সেরা দলে তিন বাংলাদেশি
স্পোর্টস ডেস্ক॥ ভারতকে হারিয়ে অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপের অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন এখন জুনিয়র টাইগাররা। এই প্রথম বিশ্বকাপের মঞ্চে শিরোপার স্বাদ নিলো বাংলাদেশ। টুর্নামেন্ট জুড়ে পারফরম্যান্সের বিচারে মনে দাগ কেটেছেন বেশ কয়েকজন তরুণ। তাদের প্রতিভায় মুগ্ধ হয়েছেন বিশ্বের সব ক্রিকেটবোদ্ধা। ভবিষ্যৎবাণী করেছেন, আগামী দিনে ক্রিকেটবিশ্বকে শাসন করবে এই তরুণরা। এদের নিয়ে সেরা অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্ব একাদশ ঘোষণা করল আইসিসি। এদের মধ্যে আছেন বাংলাদেশের তিনজন। আর ভারতের তিনজন। বাকিরা আফগানিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের। ব্যাটিং অর্ডারের ওপর ভিত্তি করে তালিকাটি করা হয়েছে। তাদের নাম নিচে দেয়া হলো-
১) যশস্বী জয়সওয়াল ২) ইব্রাহিম জাদরান ৩) রবীন্দু রাসান্থা ৪) মাহমুদুল হাসান জয় ৫) শাহাদত হোসেন ৬) নাইম ইয়ং ৭) আকবর আলী
৮) সফিকুল্লা ঘাফারি ৯) রবি বিষ্ণোই ১০) কার্তিক ত্যাগী ১১) জেডেন সিলস ১২) আকিল কুমার।

‘রোগভোগে হতাশ হয়ে পড়েছেন পেলে’
স্পোর্টস ডেস্ক॥ অনেক দিন ধরেই শরীরটা ভালো যাচ্ছে না পেলের। দীর্ঘ রোগভোগে ব্রজিলের সাবেক তারকা এই খেলোয়াড় হতাশ হয়ে পড়েছেন, এমনকি বাড়ির বাইরেও যেতে চাচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন তার ছেলে। পেলেকে গ্রহের অন্যতম সেরা ফুটবল তারকা হিসেবে ভাবা হয়ে থাকে। খেলোয়াড়ি জীবনে ব্রাজিলের হয়ে তিনবার জিতেছেন বিশ্বকাপ। সমৃদ্ধ ক্লাব ফুটবলে ক্যারিয়ারও। সত্তরের দশকে নিউ ইয়র্ক কসমসে পাড়ি জমানোর আগে ক্যারিয়ারের বেশির ভাগ সময় কাটান ব্রাজিলিয়ান ক্লাব সান্তোসে। দীর্ঘ ২১ বছরের ক্যারিয়ারে ১৩৬৩টি ম্যাচে গোল করেছেন ১২৮১টি! এর মধ্যে ব্রাজিলের হয়ে গোল ৯১ ম্যাচে ৭৭টি! অক্টোবরে আশি বছরে পা দিতে যাওয়া পেলে বেশ কয়েক বছর ধরে কোমরের সমস্যায় ভুগছেন। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে, হাঁটতে গেলে ফ্রেমের সহায়তা লাগে। সাম্প্রতিক সময়ে তিনি যে কয়বার জনসমক্ষে এসেছেন হুইলচেয়ারেই বসা ছিলেন। বাবা পেলের বর্তমান অবস্থা জানাতে গিয়ে ব্রাজিলের গ্লোবো টিভিকে ছেলে এদিনহো বলেন, “তিনি ভেঙে পড়েছেন। তার কোমর প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। কিন্তু পুনর্বাসন প্রক্রিয়াটা পর্যাপ্ত ও যথার্থ হয়নি। তাই তার নড়চড়ায় সমস্যা আছে। তাতে এক ধরনের হতাশা তৈরি হয়েছে। কল্পনা করুন, তিনি একজন কিং, অনুকরণীয় ব্যক্তিত্ব। অথচ তিনি আজ ঠিকমতো হাঁটতে পারছেন না।” “তিনি বড় অস্বস্তিতে আছেন। বাইরে যেতে চান না। বাড়ির বাইরে কিছু করার জন্য, কিছু দেখার জন্য যেতে চান না। তিনি খুব ঘুম কাতুরে হয়ে পড়েছেন, নির্জনে থাকতে পছন্দ করেন।” এদিনহো জানিয়েছেন, কোমরে অস্ত্রোপচারের পর প্রয়োজনীয় ফিজিওথেরাপি না নেওয়ায় পেলের সঙ্গে তর্কাতর্কিও করেছেন। গত বছরের এপ্রিলে প্যারিসে এক অনুষ্ঠানে এসে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন পেলে। তাৎক্ষণিক প্যারিসের আমেরিকান হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। তখন তার মূত্রথলিতে সংক্রমণ ধরা পড়লে চিকিৎসা করা হয়।

বাংলাদেশ-ভারতের ৫ খেলোয়াড়কে শাস্তি
স্পোর্টস ডেস্ক॥ দক্ষিণ আফ্রিকায় সদ্য সমাপ্ত যুব ক্রিকেট বিশ্বকাপের ফাইনালের পর বিবাদে জড়ানোর ঘটনায় বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের তিন ও ভারত অনূর্ধ্ব-১৯ দলের দুই খেলোয়াড়কে শাস্তি দিয়েছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা (আইসিসি)। দক্ষিণ আফ্রিকার পচেফস্ট্রুমে গত রোববার ফাইনালে ভারতকে ৩ উইকেটে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ। কিন্তু শিরোপা জয়ের উচ্ছ্বাসটা যেন একটু মাত্রা ছাড়ায়। ম্যাচ শেষে দুদলের ক্রিকেটারদের মাঠের মধ্যেই বাকযুদ্ধ, ধাক্কাধাক্কি ও হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়তে দেখা যায়। বাংলাদেশের শাস্তিপ্রাপ্ত খেলোয়াড়রা হচ্ছেন- তওহিদ হৃদয়, শামিম হোসেন ও রাকিবুল হাসান। ভারতের শাস্তিপ্রাপ্ত খেলোয়াড়রা হলেন আকাশ সিং ও রবি বিষ্ণই। প্রত্যেকের বিরুদ্ধেই আইসিসি’র কোড অব কন্ডাক্টের ২.২১ ধারা ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়েছে। পাঁচ জনের মধ্যে রবি বিষ্ণইয়ের বিরুদ্ধে ২.৫ ধারা ভঙ্গের অভিযোগও আনা হয়েছে। শাস্তির মধ্যে বাংলাদেশের তৌহিদ পেয়েছেন ১০টি সাসপেনশন পয়েন্ট। এই সাসপেনশন পয়েন্ট ৬টি ডিমেরিট পয়েন্টের সমান। শামিমের ক্ষেত্রে সাসপেনশন পয়েন্ট ৮টি হলেও ডিমেরিট পয়েন্ট ৬টি। রাকিবুল ৪টি সাসপেনশন পয়েন্ট পেয়েছেন, যেটা ৫ ডিমেরিট পয়েন্টের সমান। ভারতের আকাশ ৮টি সাসপেনশন ও ৬টি ডিমেরিট পয়েন্ট পেয়েছেন। বিষ্ণই প্রথম অপরাধের জন্য ৫ সাসপেনশন ও ৫ ডিমেরিট পয়েন্ট পেয়েছেন। ২৩তম ওভারে অভিষেক দাস আউট হওয়ার পর বাজে ভাষা ব্যবহার করায় পেয়েছেন আরও ২টি ডিমেরিট পয়েন্ট। পাঁচ ক্রিকেটারই এই শাস্তি মেনে নিয়েছেন। অনূর্ধ্ব-১৯ অথবা অন্য যে কোনও আন্তর্জাতিক ম্যাচে যখনই এই ক্রিকেটাররা অংশ নেবেন, এই সাসপেনশন পয়েন্ট প্রযোজ্য হবে। ১ সাসপেনশন পয়েন্ট মানে একটি ওয়ানডে বা টি-টোয়েন্টি, অনূর্ধ্ব-১৯ পর্যায় বা এ দলের একটি ম্যাচ খেলতে না পারার শাস্তির সমান। অনফিল্ড আম্পায়ারদের রিপোর্টের ভিত্তিতে ম্যাচ রেফারি গ্রায়েম ল্যাব্রোয়ের প্রস্তাবনায় এই শাস্তি দিয়েছে আইসিসি। পাঁচ ক্রিকেটারই শাস্তি মেনে নিয়েছেন। উল্লেখ্য, তীব্র উত্তেজনাপূর্ণ ফাইনাল শেষে উভয় দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে বিবাদের বিষয়টি নিয়ে সোমবার বাংলাদেশ ও ভারতের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা চলে।