কালীগঞ্জ ও শৈলকুপায় ২ খুন

0

স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ ও শৈলকুপা সংবাদদাতা॥ ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ ও শৈলকুপা উপজেলায় রোববার দুই জন খুন হয়েছেন। এর মধ্যে কালীগঞ্জে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে ১ জন নিহত ও ৭ জন আহত এবং শৈলকুপায় হিন্দু সম্প্রদায়ের চরক খেলা নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ছেলে নিহত ও বাবা আহত হয়েছেন।
কালীগঞ্জে আওয়ামী লীগ সমর্থিত দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আক্তার হোসেন নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। রোববার রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি যশোর সদর হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। এ ঘটনায় পৌর যুবলীগের আহবায়ক শফিকুজ্জামান রাসেলসহ ৭ জন আহত হন।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, রোববার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে শহরের নদীপাড়া এলাকায় ভাংড়ি দোকানে এক শিশু প্লাস্টিকের বোতল নষ্ট করছিল। এ সময় দোকানের মালিক দেলোয়ার হোসেনের ছেলে সজীব ওই শিশুকে ধমক দিয়ে পাঠিয়ে দেয়। এ ঘটনার পর মাগরিবের নামাজ পড়ে বাড়ি ফেরার পথে সজিব হোসেনকে পিটিয়ে জখম করে কয়েকজন যুবক। পরে এ বিষয়টি জানতে পেরে এলাকার কয়েকজনকে সাথে নিয়ে ওই দোকানে যান পৌর যুবলীগের আহবায়ক শফিকুজ্জামান রাসেল। সেখানে প্রথমে বাকবিতান্ডা ও পরে সংঘর্ষে রূপ নেয়। সংঘর্ষে দু’পক্ষের অন্তত ৮ জন আহত হয়। এদের মধ্যে তিনজনকে যশোর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আক্তার হোসেন মারা যান।
কালীগঞ্জ থানার ওসি আবু আজিফ জানান, তুচ্ছ ঘটনায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে কয়েকজন আহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সেখানে ফেলে রাখা দুটি বোমা সদৃশ্য বস্তু উদ্ধার করে পুলিশ। এছাড়া সংঘর্ষে আহত আক্তার হোসেন যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতেই মারা যান।
অপরদিকে শৈলকুপায় বৈশাখী উৎসবের চরক খেলাকে কেন্দ্র করে স্বাধীন নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তি উপজেলার ভগবাননগর গ্রামের আদিবাসী সুনীল কুমারের ছেলে।
এলাকাবাসী জানান, রোববার বিকেলে বৈশাখী উৎসব উপলক্ষ্যে ভগবাননগর গ্রামের আদিবাসী সুনীলের বাড়িতে চরক খেলা অনুষ্ঠিত হয়। বাড়ির মালিক সুনীল কুমার তার বাড়িতে চরক খেলা করতে নিষেধ করলে আদিবাসী সুনীল ও শান্তিরামের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় সুনীল গুরুতর আহত হন। পরে সুনীলের ছেলে স্বাধীন কুমার বিকেলে ভাটই বাজারের একটি চাতালে গেলে শান্তিরামের লোকজন তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসারত অবস্থায় সোমবার সকালে তিনি মারা যান। নিহত ব্যক্তির বাবা সুনীল কুমার জানান, দীর্ঘদিন ধরে আমার প্রতিপক্ষ শান্তিরামের সাথে সামাজিকভাবে বিরোধ চলে আসছিল। তারা আমার বাড়ির ওপর আমার বিনা অনুমতিতে চড়ক খেলা করলে আমি তাদের নিষেধ করি। তার জের ধরে শান্তিরামের লোকজন আমার ছেলেকে কুপিয়ে আহত করে। পারে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় আমার ছেলে স্বাধীন মারা যায়।
এ ব্যাপারে শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম চৌধুরী জানান, চরক খেলাকে কেন্দ্র করে স্বাধীন নামের একটি ছেলে মারা গেছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্যে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে।