বেনাপোলের তৃতীয় লিঙ্গের রেশমা হত্যায় জড়িত অভিযোগে প্রেমিকসহ আটক ২

0

 

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বেনাপোলের কাগজপুকুরে তৃতীয় লিঙ্গের শেখ রেশমা হত্যাকান্ডে জড়িত অভিযোগে নিহতের প্রেমিকসহ দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালে শার্শার গোড়পাড়া এলাকা থেকে তাদেরকে আটক করা হয়।
আটকরা হলেন, কাগজপুকুর পশ্চিমপাড়ার মৃত হুমায়ন কবিরের ছেলে জাফর হোসেন (২৫) ও কাগজপুকুর উত্তরপাড়ার মৃত মোসলেম মোড়ল ওরফে ফটকা মোসলেমের ছেলে টিটু মোড়ল (৩০)।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বেনাপোল পোর্ট থানার এসআই শংকর কুমার বিশ্বাস জানান, ইতোপূর্বে তারা তৃতীয় লিঙ্গের রেশমা হত্যাকান্ডে জড়িত অভিযোগে ফারুক হোসেন নামে এক যুবককে আটক করেন। ফারুক হোসেনের আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে হত্যার সাথে জড়িত অভিযোগে নিহতের প্রেমিক জাফর হোসেন এবং তার সহযোগী টিটু মোড়লসহ কয়েক জনের নাম প্রকাশ পায়। এর প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার ভোর ৫টার দিকে শার্শার গোড়পাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে জাফর হোসেন ও টিটু মোড়লকে আটক করা হয়। আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা তৃতীয় লিঙ্গের রেশমা হত্যার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। তিনি আরও জানান, আটক জাফর হোসেন ও টিটু মোড়লকে দুপুরে আদালতে সোপর্দ করা হলে তারা ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম কবির তাদের জবানবন্দি গ্রহণ করেন। পরে আদালত তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।
তৃতীয় লিঙ্গের রেশমা এবং তার প্রেমিক জাফর এক সাথে মাদকের ব্যবসা করতেন। কিন্তু রেশমার সাথে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হলে তিনি একবার জাফরকে মাদকসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ধরিয়ে দেন। পরে তিনি আবার জাফরকে ছাড়িয়ে আনেন। বিষয়টি জাফর জেনে যাওয়ায় তিনি রেশমার ওপর ক্ষুব্ধ হন। এছাড়া নানা কারণে আরও লোকজন রেশমার ওপর ক্ষুব্ধ ছিলেন। এরই জের ধরে গত ৩ মার্চ রাত সাড়ে ৯টার দিকে রেশমাকে কৌশলে কাগজপুকুর কেন্দ্রীয় কবরস্থানে ডেকে নিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেন জাফর এবং তার আরও কয়েক সহযোগী। হত্যার পর তারা লাশ বস্তার ভেতর ঢুকিয়ে মাটিচাপা দিয়ে রাখেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এ তথ্য জানতে পেরে গত ১১ মার্চ বিকেলে সেখান থেকে তার লাশ উত্তোলন করে ডিবি পুলিশ। এছাড়া হত্যায় জড়িত অভিযোগে ফারুক হোসেন নামে একজনকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় ডিবি পুলিশের এসআই মো. মফিজুল ইসলাম ৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৩/৪ জনকে আসামি করে বেনাপোল পোর্ট থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।