যশোরের সাজিয়ালী পুলিশ ফাঁড়ি সড়কে ভোগান্তি চরমে

0

চুড়ামনকাটি(যশোর)প্রতিনিধি ॥ যশোর সদর উপজেলার সাজিয়ালী পুলিশ ফাঁড়ির যোগাযোগের একটি মাত্র সড়কের বেহাল দশা। দীর্ঘদিনের ইটের সলিংয়ের রাস্তাটি বর্তমানে ইট উঠে কাঁচা রাস্তায় পরিণত হয়েছে। প্রতিদিন এই রাস্তাটি দিয়ে হাজার হাজার লোক যাতায়াত করে থাকেন। রাস্তাটিতে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়ে বর্ষা মৌসুমে পানি জমে থেকে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। সবচেয়ে বেশি সমস্যায় ভুগতে হয় পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যদের। রাতের টহলের গাড়ি চলাচল করে চরম ঝুঁকি নিয়ে।
এলাকাবাসীরা জানিয়েছেন, যশোর সদর উপজেলার সাজিয়ালী গ্রামের মাঝামাঝি স্থানে ১৯৯৬ সালে একটি স্থায়ী পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপন করে সরকার। ফাঁড়িতে যাতায়াতের জন্য আব্দুলপুর আমতলা মোড় দিয়ে সাজিয়ালীর ভেতর দিয়ে এবং আমবটতলা বাজার থেকে গোবিলা রাস্তাটি ব্যবহার করেন এলাকাবাসীসহ পুলিশ সদস্যরা। যার পুরো ৩ কিলোমিটার রাস্তাই বর্তমানে চলাচলের জন্য অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। রাস্তাটির সলিংয়ের ইট উঠে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্তের।
সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, কৃষি প্রধান এলাকা হওয়ায় প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে এলাকার কৃষকদের কৃষিপণ্য বহন করা ছাড়া কয়েকটি গ্রামের হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করে থাকেন। সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়তে হয় স্কুল -কলেজ পড়–য়া শিক্ষার্থী ও পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যদের। জীবনের চরম ঝুঁকি নিয়ে তারা চলাচল করছেন। রাস্তাটির চিত্র এখন মেঠো রাস্তার মত হয়ে গেছে। রাস্তাটির বর্তমানে এমন বেহাল দশা তাতে একটু বৃষ্টি হলে পায়ে হেঁটে চলাচল করাও মুশকিল।
সাজিয়ালী গ্রামের ভ্যানচালক মোন্তাজ আলী জানান, গত ৪/৫ বছর যাবত রাস্তাটি চলাচলের জন্য একেবারেই অনুপযোগী হয়ে গেলেও রাস্তা মেরামত করা হয়নি। নিশ্চিতপুর গ্রামের সাংবাদিক আব্দুস সাত্তার কিনে জানান,রাস্তাটির একটি অংশ সাজিয়ালী হয়ে নিশ্চিতপুরের ভেতর দিয়ে বারীনগর পর্যন্ত পাকা রাস্তার উদ্ধোধন করা হলেও কাজ হঠাৎ বন্ধ হয়ে রয়েছে। তিনি আরো বলেন, রাস্তাটির কাজ শুরু হলে পুলিশ ফাঁড়িতে যাতায়াত সহজ হবে।
ফাঁড়িতে টহল গাড়ি চালক মো. পান্নু জানান,একটু বর্ষা হলে গাড়ি নিয়ে ফাঁড়িতে যাওয়া মুশকিল। জীবনের চরম ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করতে হয়।
এ ব্যাপারে চুড়ামনকাটি ইউপি চেয়ারম্যান দাউদ হোসেন জানান,রাস্তাটি উদ্বোধনের পরও কেনো বন্ধ রয়েছে তা বোধগম্য নয়।