বাংলাদেশে আল-জাজিরার সম্প্রচার বন্ধের দাবি যবিপ্রবি নীল দলের

0

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জড়িয়ে ডাহা মিথ্যা, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, মানহানিকর সংবাদ পরিবেশন করায় কাতারভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল-হাজিরার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা দায়ের, এ দেশে টেলিভিশনটির সম্প্রচার বন্ধ এবং এর সাথে জড়িতদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) নীল দল (মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী শিক্ষকবৃন্দ) শিকবৃন্দ। সোমবার যবিপ্রবির বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব একাডেমিক ভবনের সামনে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভায় নীল দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. ইকবাল কবীর জাহিদ তিন দফা দাবি তুলে ধরেন। প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেন, আপনারা দেখেছেন জাতিসংঘের মহাসচিবের মুখপাত্র স্তেফান দুজারিজ আল জাজিরার রিপোর্ট নিয়ে বলেছেন- এই প্রামাণ্যচিত্রে যে ধরনের ইলেক্ট্রনিক যন্ত্রের কথা উল্লেখ করেছেন, সে ধরনের কোনো যন্ত্র ব্যবহারের বিষয়ে জাতিসংঘের চুক্তিতে নেই। জাতিসংঘের শান্তি রক্ষা মিশনে বাংলাদেশের কোনো কন্টিনজেন্টে এ রকম যন্ত্র ব্যবহার হচ্ছে না। সুতরাং আমরা সকলে সহজেই বুঝতে পারছি এই প্রতিবেদনটি কতটা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। শুধুমাত্র জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন, অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য এ ধরনের বিতর্কিত সংবাদ পরিবেশন করা হয়েছে। বক্তারা আরও বলেন, আল-জাজিরার প্রামাণ্যচিত্রে যে জুলকার নাইম সায়েব খানের (ছদ্দনাম-সামি) উদ্ধৃতি দেওয়া হয়েছে তিনি বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমি থেকে বহি®কৃত একজন ক্যাডেট। সুতরাং তার কর্মকান্ড সবসময়ই প্রশ্নবিদ্ধ থাকবে, এটাই স্বাভাবিক।
প্রতিবাদ সভায় বক্তারা আরও বলেন, আল জাজিরা টেলিভিশন একটি মৌলবাদী সংবাদ মাধ্যম যারা বাংলাদেশের উন্নতি সহ্য করতে পারে না, তার প্রমাণ এই প্রতিবেদনের প্রধান ভাষ্যকার ডেভিড বার্গম্যানকে তার কুকর্মের জন্য আর্ন্তজাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল বাংলাদেশ দোষী সাব্যস্ত করেছিল। সংবাদটি ইচ্ছাকৃত ভাবে ফেসবুকসহ বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে বিজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ করা হয়েছে। সুতরাং আমরা সবাই এ ধরনের সংবাদ প্রকাশের তীব্র নিন্দা জানাই। যবিপ্রবি নীল দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. ইকবাল কবীর জাহিদের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় আরও বক্তব্য দেন শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান (পিইএসএস) বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মো. জাফিরুল ইসলাম, পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি (এনএফটি) বিভাগের চেয়ারম্যান ড. শিরিন নিগার, ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং (আইপিই) বিভাগের চেয়ারম্যান ড. এ এস এম মুজাহিদুল হক, নার্সিং অ্যান্ড হেল্থ সায়েন্স (এনএইচএস) বিভাগের চেয়ারম্যান ড. তানভীর ইসলাম, ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট (সিডিএম) বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান, বায়ো-মেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং (বিএমই) বিভাগের চেয়ারম্যান ড. হাসান মো. আল-ইমরান, কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল (সিএসই) বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. নাসিম আদনান, এনএফটি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ফাতেমা-তুজ-জোহরা প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি