কেএমপি’র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনারসহ কর্মকর্তাদের মহসেন জুট মিল পরিদর্শন

0

ফুলবাড়ীগেট (খুলনা) সংবাদদাতা ॥ শনিবার খুলনার শিরোমণি শিল্পাঞ্চলের ব্যক্তি মালিকানাধীন মহসেন জুট মিল পরিদর্শন করেছেন খুলনা মেট্রোপলিটন (কেএমপি) এর অতিরিক্ত কমিশনার সরদার রাকিবুল ইসলাম, ডিসি নর্থ মোল্লা জাহাঙ্গীর হোসেন, বিভাগীয় শ্রম পরিচালক মো. মিজানুর রহমান, কলকারখানা পরিদর্শক মো. আরিফ হোসেনসহ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এসময় শ্রমিকদের চূড়ান্ত পাওনাদি পরিশোধের বিষয়ে আন্দোলনরত মিল শ্রমিকদের সাথে তারা বৈঠক করেন।
বৈঠকে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার সরদার রাকিবুল ইসলাম বলেন, ছাটাইকৃত শ্রমিকদের গ্রাচ্যুইটি, পিএফসহ যাবতীয় পাওনাদি পরিশোধের ব্যাপারে মিল কর্তৃপক্ষের সাথে দফায় দফায় আলোচনা করা হয়েছে। ইতিপূর্বে মিল মালিক একাধিকবার শ্রমিকের পাওনা পরিশোধের সময় নিলেও সেটা বাস্তবায়ন করেননি। তিনি আরও বলেন, এবারের পেক্ষাপট ভিন্ন, মিল মালিককে কোন প্রকার ছাড় দেওয়া হবে না এবং মিলের শ্রমিকের টাকা পরিশোধ করার আগে কোন প্রকার মিলের ভিতরের মালামাল বের করতে দেয়া হবে না। যদি কেউ মিল থেকে কোন মালামাল বের করে তাহলে সে যেই হোক না কেন তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। তিনি শ্রমিকদের পূর্বঘোষিত কর্মসূচি ৮ সেপ্টেম্বর সকাল ১০ টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত রাজপথ, রেলপথ অবরোধ প্রত্যাহারের অনুরোধ করেন। শ্রম পরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, শ্রম প্রতিমন্ত্রী এ বিষয়ে খোঁজখবর রাখছেন যাতে শ্রমিকেরা অতিদ্রুত তাদের ন্যায্য পাওনা পেতে পারেন। সে ব্যাপারে তিনি আন্তরিক রয়েছেন। এদিকে ৮ সেপ্টেম্বরের কর্মসূচি প্রত্যাহারের ব্যাপারে জানতে চাইলে মিলের সিবিএ সাবেক সভাপতি শহিদুল্লাহ খা জানান, ‘আমাদের কর্মসূচি এখন পর্যন্ত বহাল রয়েছে। নির্দিষ্ট ঘোষনা জেলা প্রশাসক, শ্রম পরিচালকের দপ্তর থেকে লিখিত আকারে না পাওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি প্রত্যাহার করা হবে না। তিনি আরো বলেন, মিল মালিক সিবিএ নেতা সুলতান মোল্লা, আব্দুর রশিদ, ইসমাইল হোসেন মন্টু ও রবিসহ কতিপয় ব্যক্তির সাথে আঁতাত করে ৭ বছর শ্রমিকদের সাথে প্রতারণা করে আসছেন। মিল পরিদর্শনকালে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন খানজাহান আলী থানা পুলিশের ওসি প্রবীর কুমার বিশ্বাস, খুলনা জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান সাজ্জাদুর রহমান লিংকন, আটরা গিলাতলা ইউপি চেয়ারম্যান শেখ মনিরুল ইসলাম, খানজাহান আলী থানার ওসি (তদন্ত) মো. কবির হোসেন, মিলের শ্রমিক বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহাতাব উদ্দিন, ক্বারী আছহাব উদ্দিন, ইঞ্জিল কাজী, কাগজী ইব্রাহীম, ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিক পরিবারের সন্তান সাংবাদিক সাইফুল্লাহ তারেক, সাংবাদিক মিহির রঞ্জন বিশ্বাস প্রমুখ।