ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে উত্তাল ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়

0

ইবি সংবাদদাতা॥ গাজীপুরে ধর্ষণ, খতিবকে অপহরণ ও চট্টগ্রামে আলিফ হত্যাসহ ইসকনের সব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বন্ধ ও ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

শুক্রবার বাদ জুমা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ চত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। পরে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে গিয়ে সমাবেশে মিলিত হয়। এ সময় কেন্দ্রীয় মসজিদের ইমাম আশরাফ উদ্দিন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

মিছিলে ‘তুমিও জানো, আমিও জানি, ইসকন তুই হিন্দুস্তানি,’ ‘ইসকন তুই জঙ্গি, স্বৈরাচারের সঙ্গী,’ ‘বদরের হাতিয়ার,গর্জে উঠুক আরেকবার,’ ‘বিচার বিচার বিচার চাই,আলিফ হত্যার বিচার চাই,’ ‘ইসকনের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না,’ ‘ভারতের দালালেরা, হুঁশিয়ার সাবধান’সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায়।

সমাবেশে বিগত সময়ে ইসকনের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের খন্ডাংশ তুলে ধরে শিক্ষার্থীরা বলেন, ৫ আগস্টের পর বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করতে ইসকন নামক বিষফোঁড়া, ভারতের দালাল ও সন্ত্রাসী সংগঠন উঠেপড়ে লেগেছে। বিগত সময়ে তারা আওয়ামী ফ্যাসিবাদী আমলে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে থেকে বাংলাদেশকে নিয়ন্ত্রণ করেছে।

তারা বলেন, ইসকনকে সমর্থন করা মানে আরএসএসকে সমর্থন করা। আরএসএসকে সমর্থন করা মানে ভারতীয় জনতা পার্টিকে সমর্থন করা। বিজেপিকে সমর্থন করা মানে মোদিকে সমর্থন করা। মোদিকে সমর্থন করা মানে বাংলাদেশের আওয়ামী লীগকে সমর্থন করা। আওয়ামী লীগকে সমর্থন করা মানে স্বৈরাচার শেখ হাসিনাকে সমর্থন করা। হাসিনাকে সমর্থন করা মানে এদেশের দুই হাজার শহীদের খুনকে সমর্থন করা।
ইসকন সদস্যেদের হাতে গাজীপুরে একজন ইমামকে গুম ও নির্যাতন, গাজীপুর ও বুয়েটে মুসলিম মেয়েকে ধর্ষণের ঘটনায় এ সংগঠনকে নিষিদ্ধের দাবি তোলা হয়।

ইসকন (ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর কৃষ্ণ কনশাসনেস) বা আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘের যাত্রা শুরু হয় ৫৮ বছর আগে। বর্তমানে বিশ্বের শতাধিক দেশে ইসকনের অস্তিত্ব রয়েছে। তবে বেশকিছু দেশে সংগঠনটি নিষিদ্ধ। চীনে ইসকনের কার্যক্রমের অনুমতি নেই। সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ায়ও নিষিদ্ধ ইসকন। ইরানে ইসকনের ক্রিয়াকলাপের অনুমতি নেই। এ ছাড়া সৌদি আরব ও আফগানিস্তানে ইসকনের কর্মকাণ্ডের অনুমতি নেই।