ঝিনাইদহের ৫১ জন চিকিৎসা ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত

0

আসিফ কাজল, ঝিনাইদহ॥ ৪৮তম বিসিএস পরীক্ষায় ঝিনাইদহে রেকর্ড সংখ্যক মেধাবী শিক্ষার্থী চিকিৎসা ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন। এতে পরিবারগুলোতে বইছে আনন্দ আর উচ্ছাসের জোয়ার। এমনই একটি পরিবার হচ্ছে ঝিনাইদহ শহরের কালিকাপুরপাড়ার ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সাবেক ফিল্ড সুপারভাইজার আমিনুল ইসলামের।

সদ্য প্রকাশিত বিসিএস পরীক্ষার ফলে তার মেয়ে আফরা আনজুম অনন্য ও জামাই মুজাহিদুল ইসলাম এক সাথে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েেেছন। পরিবারটিতে এখন খুশি ছড়িয়ে পড়েছে।

স্থানীয়রা জানান, ঝিনাইদহের ছয় উপজেলার মোট ৫১ জন মেধাবী শিক্ষার্থী চিকিৎসা ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন। দীর্ঘ প্রস্তুতি, কঠোর পরিশ্রম আর আত্মত্যাগের ফসল হিসেবে তারা সরকারি চাকরিতে যোগদানের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছেন।

প্রাপ্ত তথ্য মতে, সুপারিশপ্রাপ্তদের মধ্যে ঝিনাইদহ সদর উপজেলায় ১৯ জন, শৈলকুপা উপজেলার ১০ জন, হরিণাকুন্ডুতে ৬ জন, কালীগঞ্জে ৬ জন, কোটচাঁদপুরের ৫ জন ও মহেশপুর উপজেলার ৫ জন রয়েছেন।

বিসিএস প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে তাদের চরিত্র যাচাই ও গোয়েন্দা প্রতিবেদনের জন্যে বাংলাদেশ কর্মকমিশন থেকে ঝিনাইদহের পুলিশ সুপার বরাবর একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে।

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সাবেক ফিল্ড সুপারভাইজার আমিনুল ইসলাম জানান, সুপারিশপ্রাপ্ত এই চিকিৎসকদের সাফল্য শুধু ব্যক্তিগত নয়, বরং পুরো জেলার শিক্ষাঙ্গনের একটি ঐতিহাসিক অর্জন। তার মেয়ে ও জামাই উভয়ই চিকিৎসা ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়ে তার পরিবারকে গর্বিত করেছেন বলে উল্লেখ করেন।

ঝিনাইদহের সিভিল সার্জন ডা. কামরুজ্জামান সুপারিশপ্রাপ্ত তরুণ চিকিৎসকদের স্বাগত জানিয়ে বলেন, প্রথমে তাদের কাজ শিখতে হবে। আর এ কারণে গ্রামাঞ্চল ও উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে গ্রামের মানুষদের সেবা দিতে হবে। ভবিষ্যতে এসব চিকিৎস দেশের গ্রামীণ স্বাস্থ্যসেবায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন বলে তিনি বিশ্বাস করেন।

চিকিৎসা ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত ডা. আফরা আনজুম অনন্য বলেন, ছোটবেলা থেকেই দেখেছি গ্রামের মানুষ চিকিৎসা না পেয়ে কষ্টে ভোগে। তাই নিজ জেলা ঝিনাইদহের মানুষের জন্যে কাজ করতে চাই। তিনি বলেন, তারা স্বামী-স্ত্রী এক সঙ্গে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন। এজন্যে আল্লাহ পাকের দরবারে তিনি ও তার পরিবার শুকরিয়া আদায় করেন।

দৈনিক নবচিত্র পত্রিকার সম্পাদক আলাউদ্দীন আজাদ বলেন, এই সাফল্য আমাদের জেলার গর্ব। আশা করি তারা ভবিষ্যতে সরকারি স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করবেন।