রামপালে ৬ পরিবারের ২৩ সদস্যের যাতায়াতের পথ নেই

0

এমএ সবুর রানা, রামপাল (বাগেরহাট)॥ নিরোদ দাস গত হয়েছেন কয়েক বছর আগে। তার ৫ সন্তান বসবাস করেন উপজেলার হাতিরবেড় গ্রামে। হাতিরবেড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পূর্ব-দক্ষিণ কোনে তাদের বসবাস। নিরোদের ৫ ছেলে হলেন, সঞ্জয় দাস, কিশোর দাস, নয়ন দাস, অসীম দাস ও কৃষ্ণ দাস। এদের মধ্যে সঞ্জয় দাসের ছেলে সজল দাসও স্ত্রী সন্তান নিয়ে বসবাস করেন একই স্থানে। ওই ৬ টি পরিবারের সদস্য সংখ্যা মোট ২৩ জন। এদের মধ্যে ১১ জন শিশু ও কিশোর।

গত ৬ বছর আগে হাতিরবেড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চারিদিক দিয়ে উঁচু প্রাচীর তুলে বিদ্যালয়টি সংরক্ষণ করা হয়। এতে বাধে বিপত্তি। ওই পরিবারের একমাত্র যাতায়াতের পথ ছিল বিদ্যালয়ের ভেতর দিয়ে। ছয় বছর আগে দেওয়াল তুলে দেওয়ায় বিপাকে পড়ে পরিবারগুলো। দেওয়ালের নিচ দিয়ে ছোট ফাঁক গলে বের হতে হয় তাদের। দেওয়ালের ফাঁক দিয়ে তাদের যাতায়াত করার সময় দেওয়ালে মাথায় আঘাত লাগে। তবুও জীবন- জীবিকার সন্ধানে তাদের বের হতে হয় ফাঁক গলে। বর্ষাকালে সেখানে পানি জমে থাকে। কাদাপানির ভেতর দিয়ে তাদের পথ চলতে হয়।

এ বিষয়টি নিয়ে আইনশৃঙ্খলা কমিটির এক সভায় এনসিপির উপজেলা সমন্বয়ক মো. মাজেদুর রহমান জুয়েল পরিবারগুলোর মানবেতর জীবনযাপনের বিষয়টি উত্থাপন করেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশ্বাস দেন, দ্রুত সমস্যার সমাধানের। তারপর মাস পার হয়েছে। কিন্তু এ ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

হাতিরবেড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পান্না আক্তার জানান, দেওয়াল নির্মাণের সময় তাদের বলা হয়েছিল এক হাত জায়গা ছাড়লে পথের ব্যবস্থা করে দেওয়া যাবে। তারা তখন জায়গা না দেওয়ায় সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। জায়গা ছাড়ার বিষয়টি অবশ্য সঞ্জয় ও কিশোর দাস অস্বীকার করেন।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. ফরহাদ আলী বলেন, বিষয়টি অমানবিক। আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে দ্রুত সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করবো।

এ বিষয়ে রামপাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তামান্না ফেরদৌসি দুঃখ প্রকাশ করে জানান, আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। যাতায়াতের জায়গায় প্রাথমিক বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ উঁচু দেওয়াল তুলে দিয়েছেন। যেহেতু জায়গাটি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের। তারা চাইলে দ্রুত সমস্যার সমাধান সম্ভব।