স্টাফ রিপোর্টার॥ যশোর চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ভবন চত্বরে বাদিকে মারধর করে আড়াই বছরের শিশু সন্তানকে কেড়ে নেয় আসামিরা। যৌতুক নিরোধ আইনের একটি মামলার বাদী তানিয়া আক্তার তার পিতা-মাতাকে সাথে নিয়ে রোববার হাজিরা শেষে আদালত ভবন থেকে নিচে নামলে এ ঘটনা ঘটে।

প্রকাশ্যে এ ঘটনা চলাকালে উপস্থিত লোকজন একজনকে ধরে পুলিশে দিয়েছেন। কয়েক ঘণ্টা পরে আসামি পক্ষের আইনজীবী শিশু সন্তানকে ফেরত দিয়েছেন।

ভুক্তভোগীর স্বজনেরা জানান, ঝিকরগাছা উপজেলার গঙ্গানন্দপুর গ্রামের রাহাত আলীর মেয়ে তানিয়া আক্তার তার স্বামী মহাসিন আলীর বিরুদ্ধে আদালতে যৌতুক নিরোধ আইনে একটি মামলা করেন। মহাসীন আলী চৌগাছা উপজেলার মুকন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা।

রোববার ধার্য্যদিনে বাদী তানিয়া আক্তার ও তার পিতা মাতা এবং আসামি মহাসীন আলী ও তার স্বজনেরা আদালতে আসেন। পরে আদালতে হাজিরাসহ প্রয়োজনীয় কাজ শেষে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উভয় পক্ষ ভবনের নিচে নেমে আসেন।

এ সময় উপস্থিত লোকজনের সামনেই মহাসীন আলী ও তার স্বজনেরা তানিয়া আক্তার ও তার পিতা মাতার উপর ঝাঁপিয়ে পড়েন। মহাসীন আলী স্ত্রী তানিয়া আক্তারের মুখে কিল ঘুষি মেরে তার কোলে থাকা আড়াই বছরের শিশুপুত্র সানিকে কেড়ে নেন এবং দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। এরই মধ্যে অন্যরা পালিয়ে গেলেও উপস্থিত লোকজন মহাসীন আলীর চাচা আনিছুর রহমান সরদারকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করেন।

পুলিশের একটি সূত্র জানায়, ওই ঘটনার ২ ঘন্টা পর আসামি পক্ষের আইনজীবী কামরুল ইসলাম কেড়ে নেওয়া শিশুকে উদ্ধার করে তানিয়া আক্তারের কাছে ফিরিয়ে দেন।

আদালতের পুলিশ পরিদর্শক মোছা. রোকসানা খাতুন জানান, আটক আনিছুর রহমানকে কোতয়ালি থানায় সোপর্দ করা হয়। পরে কোতয়ালি থানার পুলিশ তাকে ১৫১ ধারায় আটক দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে।