যশোরে রেমিট্যান্স যোদ্ধা দিবস পালনকালে সেবার নামে হয়রানি বন্ধের আহ্বান

0

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের পাঠানো অর্থ দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করছে, তাই তাদের প্রাপ্য সম্মান ও দ্রুত সেবা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন যশোরের জেলা প্রশাসক মো. আজহারুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আমাদের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের এক ধরনের মানসিকতা তৈরি হয়েছে, সেবার নামে নানানভাবে হয়রানি করা। এর থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।’ শনিবার দুপুরে জেলা কালেক্টরেট ভবনে ‘রেমিট্যান্স যোদ্ধা দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

জেলা প্রশাসক আজহারুল ইসলাম বলেন, যারা বুকের কষ্ট বুকে চেপে, আত্মীয়-স্বজন থেকে দূরে থেকে শারীরিক ও মানসিক যন্ত্রণা সয়ে দেশে রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন, সরকার তাদের সম্মান জানাতে চায়। তিনি আরও বলেন, এই রেমিট্যান্স যোদ্ধারা যদি তাদের রেমিট্যান্স পাঠানো বন্ধ করে দেন, তাহলে আমাদের অর্থনীতি কোন পর্যায়ে যাবে, তা ভেবে দেখার সময় এসেছে।

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের সময় রেমিট্যান্স যোদ্ধারা রেমিট্যান্স শাটডাউন করে ফ্যাসিস্ট সরকারকে বিপাকে ফেলে দেয়। একই সময়ে তারা সরকারের বিরুদ্ধে জনমত তৈরি করে। অথচ চলতি বছর তারা ৩১.৫ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়ে দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করেছে, যা এর আগে কখনো হয়নি।

বক্তারা ব্যাংক, পাসপোর্ট অফিসসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের দ্রুত ও বিশ্বস্ততার সঙ্গে সেবা দেওয়ার আহ্বান জানান।

সভায় যশোরের দুইজন সেরা রেমিট্যান্স প্রদানকারীকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়। এর মধ্যে সিঙ্গাপুর প্রবাসী রকি আহমেদ বছরে ১ কোটি ৯১ লাখ টাকা এবং মালয়েশিয়া প্রবাসী আব্দুল করিম বছরে ১ কোটি ২৭ লাখ টাকা রেমিট্যান্স পাঠিয়ে এই সম্মাননা অর্জন করেন।

জেলা প্রশাসক মো. আজহারুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার রওনক জাহান এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন। সভায় আরও বক্তব্য দেন রেমিট্যান্স যোদ্ধা শফিয়ার রহমান ও রিনা খাতুন, আহত জুলাই যোদ্ধা আহাদ হোসাইন, ব্যাংক কর্মকর্তা, জেলা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের প্রতিনিধি এবং জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের সহকারী পরিচালক শাহরিয়ার হাসান প্রমুখ।