তহীদ মনি ॥ সম্প্রতি শেষ হওয়া অর্ধবার্ষিক পরীক্ষার পর থেকেই যশোর শিক্ষা বোর্ডের প্রশ্নব্যাংক পদ্ধতি পুনর্বহালের দাবি জোরালো হচ্ছে। চলতি বছর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে এই পদ্ধতি স্থগিত হওয়ায় শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের বড় অংশ হতাশ। যদিও শিক্ষক সমিতি ও প্রকাশনা সংস্থাগুলো এর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে, তবে অনেকেই মনে করছেন, প্রশ্নব্যাংক পদ্ধতি ফিরে এলে শিক্ষার্থীদের বইমুখী করা এবং কোচিং-গাইড নির্ভরতা কমানো সম্ভব হবে।
২০১৮ সাল থেকে যশোর শিক্ষা বোর্ডে চালু হওয়া প্রশ্নব্যাংক পদ্ধতি শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার মান উন্নয়নে ইতিবাচক ভূমিকা রেখেছিল বলে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা দাবি করছেন। এই পদ্ধতিতে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির বার্ষিক ও অর্ধবার্ষিক পরীক্ষা এবং দশম শ্রেণির প্রাক-নির্বাচনী ও নির্বাচনী পরীক্ষাগুলো বোর্ডের প্রশ্নব্যাংকের মাধ্যমে পরিচালিত হতো। প্রতি শিক্ষার্থীর জন্য মাত্র ১০ টাকা ব্যয়ে স্কুলগুলো প্রশ্ন সংগ্রহ করতে পারতো, যা অভিভাবক ও স্কুলের জন্য আর্থিক চাপ কমাতো।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে প্রশ্নব্যাংক স্থগিত হওয়ায় কেউ কেউ খুশি হলেও, ভালো মানের স্কুল ও শিক্ষকরা এক প্রকার হতাশ। তারা দাবি করেছেন, প্রশ্নব্যাংক পদ্ধতিতে পড়াশোনা ভালো হয়। চলতি বছর সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী বিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ মূল্যায়নে শিক্ষকদের প্রশ্ন ব্যবহার করতে বলা হয়েছে। বিষয়ভিত্তিক শিক্ষকরা প্রশ্ন তৈরি করে সেই প্রশ্নে বিদ্যালয়ে পরীক্ষা নেবেন, এমন নির্দেশনা থাকলেও অনেক ক্ষেত্রে শিক্ষক সমিতি থেকে প্রশ্ন কেনার বাধ্যবাধকতা আরোপ করেছে সমিতি। এতে সরকারের মূল উদ্দেশ্য ব্যাহত হয়েছে।
আবার যে শিক্ষক প্রশ্ন করছেন, তিনিই সেই খাতার মূল্যায়ন করছেন, এতে মেধার সঠিক মূল্যায়ন হয়নি বলে অনেক শিক্ষক অভিমত দিয়েছেন। অনেক জায়গায় সমিতির প্রশ্ন কেনাবেচা হয়েছে এবং বিদ্যালয়গুলো সমিতির টাকার জোগান দিতে বাধ্য হয়েছে। সমিতি প্রকাশনার সংস্থার সরবরাহ প্রশ্ন স্কুলগুলোতে পাঠিয়েছে। প্রকাশনা সংস্থাগুলো শূল বইয়ের পরিবর্তে তাদের নিজস্ব গাইড থেকে প্রশ্ন করেছে। ফলে স্কুলে যা পড়ানো হয়েছে, সমিতির প্রশ্নে সেই অংশ থেকে প্রশ্ন হয়নি, ফলে পড়াশোনারও ক্ষতি হয়েছে। একটি পরীক্ষা শেষ হতে না হতেই প্রশ্নব্যাংকে ফিরে যাওয়ার পক্ষে মত বাড়ছে। একই সাথে চলতি পরীক্ষার পদ্ধতি নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।
যশোর শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, অনেক আগে থেকেই পরীক্ষায় স্বচ্ছতা আনা, শিক্ষার্থীদের বইমুখী করা, গাইড ও প্রাইভেট কোচিং নির্ভরতা কমিয়ে শ্রেণিকক্ষে ফিরিয়ে আনার পদক্ষেপ হিসেবে সরকারি নির্দেশে প্রশ্নব্যাংকের কার্যক্রম শুরু হয়। আন্তঃবোর্ড ও শিক্ষামন্ত্রণালয়ের সভায় একসময় এই প্রশ্নব্যাংক কার্যকর করার দায়িত্ব পায় যশোর বোর্ড।
এ উদ্দেশ্যে ঢাকা বোর্ড ও শিক্ষামন্ত্রণালয়ের সাথে বুয়েটের কয়েক দফা বৈঠক হয়। তখন সফটওয়্যার তৈরি ও আনুসঙ্গিকের জন্য কয়েক কোটি টাকার বাজেট চাওয়া হয়। পরবর্তীতে একজন সাবেক সচিবের সহায়তায় একটি ফার্ম থেকে মাত্র ২৫ লাখ টাকায় সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট করে ২০১৭ সালে প্রথমবারের মতো যশোর শিক্ষা বোর্ডে নির্বাচনী পরীক্ষা প্রশ্নব্যাংকের প্রশ্নে অনুষ্ঠিত হয়। পদ্ধতিটি সব বোর্ডেই দারুণ সাড়া ফেলে। এর পরবর্তী বছর ২০১৮ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির প্রতিটি পরীক্ষাই বোর্ডের প্রশ্নব্যাংকের প্রশ্ন নিয়ে অনুষ্ঠিত হয়। ২০২৪ সালে বিদ্যালয়ে কোনো পরীক্ষা হয়নি, শুধু দশম শ্রেণির প্রাক-নির্বাচনী ও নির্বাচনী পরীক্ষা হয়েছে, তবে তাও প্রশ্নব্যাংকের প্রশ্নেই হয়।
বোর্ড সূত্রে আরও জানা গেছে, শিক্ষার্থী প্রতি মাত্র ১০ টাকা দিয়ে স্কুলগুলো এই প্রশ্ন সংগ্রহ করতে পেরেছে। এ পর্যন্ত কয়েক লাখ শিক্ষার্থী প্রশ্নব্যাংকের প্রশ্নে পরীক্ষা দিয়েছে। যশোর বোর্ডের আওতায় ১০ জেলায় একই মানের প্রশ্ন হয়েছে, তাই সব অঞ্চলের শিক্ষার্থীরা একই প্রস্তুতি নিয়ে অগ্রসর হতে পেরেছে।
বিভিন্ন জেলার বিভিন্ন স্কুলের প্রধান শিক্ষকরা প্রশ্নব্যাংকের সুবিধা উল্লেখ করে এখনো বোর্ড কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন প্রশ্নব্যাংক চালু রাখার জন্য। অনেকেই শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান, সচিব, বিদ্যালয় পরিদর্শক, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এমনকি যারা দীর্ঘদিন প্রশ্নব্যাংক কমিটিতে কাজ করেছেন, তাদের কাছে এসেও প্রশ্নব্যাংক চালু করার অনুরোধ করেছেন।
ঝিনাইদহ জেলার হরিণাকুন্ডু পোড়াহাটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুল লতিফ, খুলনা জেলার ডুমুরিয়া পাইলট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আইয়ুব হোসেন, যশোর উপশহর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মঈন, বাগেরহাট শরণখোলার আইডিয়াল ইনস্টিটিউটের প্রধান শিক্ষক ওসমান গণিসহ অনেক শিক্ষক প্রশ্নব্যাংক চালুর পক্ষে এবং চলতি বছর চালু হওয়া প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের তৈরি প্রশ্নপত্রের পরীক্ষা গ্রহণের বিপক্ষে নিজেদের মত ব্যক্ত করেন।
তাদের মতে, এতে সবচেয়ে বেশি উপকৃত হবে ছাত্র-ছাত্রীরা। প্রথমত তারা বইমুখী হবে। পড়ালেখার পরিবেশ ফিরবে। নকলমুক্ত শিক্ষার পরিবেশ গঠিত হবে। দ্বিতীয়ত, গাইড ব্যবসা ধ্বংস হবে। স্কুল শিক্ষকদের প্রাইভেট ও কোচিং ব্যবসা বন্ধ হবে। সাজেশন দেওয়ার নামে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদেরকে জিম্মি অবস্থায় রাখতে পারবে না। পরীক্ষার যথাযথ মূল্যায়ন হবে। বিশেষত সিলেবাসের মধ্যেই প্রশ্ন হয়, কিন্তু কোন প্রশ্ন আসবে তা কোনো শিক্ষক জানতে পারেন না। পরীক্ষার আধা ঘণ্টা আগে নির্দিষ্ট কোড ও পাসওয়ার্ডের মাধ্যমে বোর্ডের প্রশ্নব্যাংক থেকে প্রশ্নপত্র পাওয়া যায়, বিধায় বাণিজ্যিক শিক্ষক বা শিক্ষাকে যারা বাণিজ্যের উপকরণ করছেন, তাদের কিছু করার থাকে না। নকল করেও কোনো ফল লাভের সম্ভাবনা থাকে না। ফলে ছাত্র-ছাত্রীরা বইমুখী, পড়ালেখামুখী হয়। শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য সাধিত হয়, শিক্ষার্থীরা নিজ জ্ঞানভিত্তিক অধ্যয়নে মনোনিবেশ করে। শিক্ষকরাও প্রশ্ন তৈরি করা এবং শ্রেণিকক্ষে পড়ালেখা করাতে উৎসাহী হন। তাছাড়া প্রশ্নব্যাংকে নিয়মিত প্রশ্ন জমা দিয়ে নিজের ভবিষ্যৎ গ্রহণযোগ্যতা ও দক্ষতা তৈরি করতে আগ্রহী হন।
সাতক্ষীরার শ্যামনগরের বনশ্রী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল করিম, খুলনা জেলার মহসিন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. নজরুল ইসলাম, কুষ্টিয়া কুমারখালীর সুলতানপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রশিদ, চুয়াডাঙ্গার ঝিনুক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলাম, শিক্ষাবোর্ড স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাবেক প্রভাষক মো. জামাল হোসেনসহ অনেকেই জানিয়েছেন, যশোর শিক্ষাবোর্ডের প্রশ্নব্যাংক চালু না থাকায় এবং বিষয়ভিত্তিক শিক্ষকরা নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষার প্রশ্ন প্রণয়ন করার সুযোগ পাওয়ায় ব্যবসায়ী শিক্ষকদের ব্যবসা বেড়েছে। গাইড বাণিজ্য সম্প্রসারিত হচ্ছে। শিক্ষক সমিতির নামে এক শ্রেণির নেতারা সমিতির প্রশ্ন কিনতে বাধ্য করছে। বেশি টাকায় প্রশ্ন কেনার ফলে এবং গাইড ব্যবসায়ীদের কল্যাণে নেতাদের পকেট ভারী হচ্ছে। তাদের মতে, প্রশ্নব্যাংক বন্ধ হওয়ায় শিক্ষার্থীরা জিম্মি হয়ে পড়েছে। পড়াশোনার চরম ক্ষতি হচ্ছে। গণিত, ইংরেজি ও বিজ্ঞানভিত্তিক বিষয়গুলোর শিক্ষকদের কোচিং, প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের ছুটতে হচ্ছে।
ফুলতলার অভিভাবক রেজওয়ান হোসেন, ডুমুরিয়ার শেখ ফরিদ উদ্দীন, যশোর উপশহরের রেক্সোনা খাতুন, পাঁচবাড়িয়ার আব্দুল লতিফ, খুলনা শহরের শাহীন রহমান, শাহপুরের শাহনূর বেগম, মণিরামপুর কপালিয়ার আব্দুল হাদী, ইয়াকুব আলী, যশোর শহরের আবু জাফরসহ বেশ কয়েকজন অভিভাবক জানান, প্রশ্ন বা সাজেশনের জন্য কোচিং, প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানে ছেলেমেয়েদের পাঠাতে হচ্ছে। না হলে স্যারের কাছে যারা পড়ে, তারাই ভালো নম্বর পায়। এতদিন এতটা চাপ ছিল না, স্যাররা কোনো সাজেশন নির্দিষ্ট করে দিতে পারতেন না।
কিন্তু গত পরীক্ষা থেকে এই সমস্যা শুরু হয়েছে। স্কুলের স্যাররা প্রশ্ন করছেন, তারাই পরীক্ষা নিচ্ছেন এবং তারাই খাতা দেখছেন। তাদের মতে, একইজন প্রশ্ন করে পরীক্ষা নিলে এবং তিনিই খাতার মূল্যায়ন করলে তার কাছের শিক্ষার্থীরা সাজেশন পাবে, বেশি নম্বর পাবে, এটাই আমাদের রীতি হয়ে উঠেছিল। এই রীতি গত কয়েক বছর ছিল না, কিন্তু এ বছর ফিরে এসেছে। স্কুলের শিক্ষকরা অনেক সময় যার কাছে ইচ্ছা প্রাইভেট পড়ানোর উপদেশ দিতেন, এখন অনেকেই নিজেদের কাছে প্রাইভেট পড়ানোর জন্য বলছেন। কোন কোন গাইড থেকে হুবহু প্রশ্ন এসেছে। ছেলেমেয়েদের আবদার মেটাতে নতুন করে সেই গাইড কিনতে হয়েছে।
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইমরুল হাসান, এম এম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সানজিদা আক্তার জানান, ‘আমাদের মতো অনেকেই শিক্ষা জীবনে প্রাইভেট পড়িয়ে নিজেদের খরচ চালিয়ে পড়াশোনা করি, কিন্তু বেশিরভাগ অভিভাবক স্কুল শিক্ষকদের প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানে বা কোচিংয়ে তাদের ছেলেমেয়েকে পাঠাতে চান। না হলে ওই শিক্ষক ইংরেজি বা অঙ্কে নম্বর বেশি দেন না।’
শিক্ষার্থী আয়েশা খাতুন, রিয়াদ হোসেন, সালমান রহমান, নাফিসা খাতুন, ইকবাল হোসেনসহ কয়েকজন জানায়, তাদের স্যাররা পরীক্ষার আগে ক্লাসের ছেলেমেয়ে যারা ওই স্যারদের কাছে প্রাইভেট পড়ে, তাদেরকে সাজেশন দিয়েছে এবং তারা বেশি নম্বর পেয়েছে।
যশোর শিক্ষাবোর্ডের বিদ্যালয় পরিদর্শক ড. মো. কামরুজ্জামান জানান, অসংখ্য বিদ্যালয় থেকে তাদের কাছে অনুরোধ আসছে, প্রশ্নব্যাংক চালু রাখা হোক এবং সেই প্রশ্নে পরীক্ষা নেওয়া হোক। তাহলে লেখাপড়ার মান ভালো হবে, সরকারের সদিচ্ছা বাস্তবায়িত হবে। তবে এটাও সত্য যে, প্রশ্নব্যাংক না রাখার জন্য অনেক শিক্ষক নেতা বোর্ডে এসে চাপ দিয়েছে। গাইড ব্যবসায়ীরা তাদের সাথে যোগ দিয়ে শিক্ষা বোর্ডে এসে বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করেছে। একপর্যায়ে বাধ্য হয়ে জিডি করতে হয়েছে। তারা মনে করে, ‘আমরা প্রশ্নব্যাংক রাখতে চেষ্টা করছি।’ তারা একসময় সামাজিক মাধ্যমেও অপপ্রচার ছড়ায়।
পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর ড. মো. আব্দুল মতিন জানান, প্রশ্নব্যাংক চালু রাখার জন্য এবং প্রশ্নব্যাংকের মাধ্যমে প্রশ্ন দিয়ে বিদ্যালয়গুলোতে পরীক্ষা নেওয়ার অনুরোধ প্রতিনিয়ত আসছে। এক শ্রেণির শিক্ষক নেতা, গাইড ব্যবসায়ী ও কোচিং ব্যবসায়ীরা এই ব্যবস্থার বিরুদ্ধে ছুটে বেড়াচ্ছেন। তারা স্কুলগুলোতে যেমন যাচ্ছেন, তেমনি শিক্ষা অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয়ে ছুটছেন বলেও খবর পাওয়া যাচ্ছে। তিনি বলেন, যারা এসব কাজ করছেন, তাদের উদ্দেশ্য বুঝতে হবে। প্রশ্নব্যাংক থাকলে অনেকের শিক্ষা নিয়ে ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাবে।
যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোসাম্মাৎ আসমা বেগম জানান, প্রশ্নব্যাংক একটি ভালো ব্যবস্থা। এটি চালু হয়েছিল মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে এবং এ বছর বন্ধ হয়েছেও মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে। অবশ্যই এর ভালো দিক বেশি, তবে শিক্ষা বোর্ড নিজেরা কিছু করতে পারে না শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমতি ব্যতীত।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন জেলার বেশিরভাগ ভালো স্কুলগুলো থেকে প্রশ্নব্যাংক চালু রাখার পক্ষে জোরালো মত পাচ্ছি, কিন্তু সরকারি নির্দেশ না থাকায় তা বাস্তবায়ন করতে পারছি না। সরকারি নির্দেশ পেলে এই ব্যবস্থায় ফিরে যাওয়া যাবে। এতে পড়ালেখার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের সাজেশন নির্ভরতা, নকলমুক্ত পরিবেশে পরীক্ষা দেওয়ার মানসিকতা এবং বুদ্ধিভিত্তিক চর্চার প্রসার বাড়বে।’





