মুরাদনগরে ‘ধর্ষণ’: ভিডিও ছড়ানোর ‘হোতা’ শাহ পরাণ গ্রেপ্তার

0

লোকসমাজ ডেস্ক ॥ কুমিল্লার মুরাদনগরে হিন্দু সম্প্রদায়ের এক নারীকে ধর্ষণ-মারধরের পর ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় আরও এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার শাহ পরান ধর্ষণ মামলার মূল আসামি ফজর আলীর আপন ছোট ভাই।

র‌্যাব-১১, সিপিসি-২ এর কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান বলেন, “শাহ পরান ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার মাস্টারমাইন্ড।” বৃহস্পতিবার বিকালে বুড়িচং উপজেলায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই তিনি আত্নগোপনে ছিলেন।

মুরাদনগর থানার ওসি জাহিদুর রহমান বলেন, “ভিডিও ছাড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় শাহ পরানের সম্পৃক্ততার বিষয়টি পুলিশের তদন্তে উঠে এসছে। তাকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি র‌্যাব জানিয়েছে। হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।” মুরাদনগরে বিবস্ত্র এক নারীর ভিডিও ধারণ করে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। এ নিয়ে তীব্র সমালোচনা চলছে। ঘটনার পর ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন ভুক্তভোগী নারী। ওই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ফজর আলী, শাহ পরানসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মামলায় ফজরের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনেছেন ওই হিন্দু নারী।

মামলায় বলা হয়েছে, সপ্তাহ দুয়েক আগে ওই নারী বাবার বাড়ি বেড়াতে আসেন। বৃহস্পতিবার রাত ১১টার পর ওই নারীর বাবা-মা বাড়ির বাইরে যান। তখন ফজর আলী বাড়িতে প্রবেশ করে তাকে ধর্ষণ করেন।

রোববার কুমিল্লা জেলা পুলিশের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে মুরাদনগরে একটি গ্রামে এক প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে ফজর আলী নামে এক ব্যক্তি আটক ও পিটুনির শিকার হয়। পরে ফজর সেখান থেকে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলে কিছু ব্যক্তি ভুক্তভোগীর ভিডিও ধারণ করে সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেয়। পরে মুরাদনগর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ‘আইনানুগ ব্যবস্থা’ গ্রহণ করে।

ওই নারী বলেন, টাকা ধার নেওয়া নিয়ে ফজর আলীর সঙ্গে তাদের পরিবারের পরিচয় ঘটে। এ সূত্র ধরেই ফজর আলী বাড়িতে প্রবেশ করে তাকে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় স্থানীয় ফজর আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি বর্তমান পুলিশ পাহারায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

এ ছাড়া পর্নোগ্রাফি আইনের মামলায় গ্রেপ্তার চারজন তিন দিনের রিমান্ডে আছেন। তারা হলেন- সুমন, রমজান, মো. আরিফ ও মো. অনিক।