যশোর জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান পিকুল ও পরিবারের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে যশোর জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এবং নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগ নেতা সাইফুজ্জামান পিকুল, তার স্ত্রী শেফালী জামান এবং দুই পুত্র তানজীব নওশাদ পল্লব ও তানভীর নওশাদ অর্ণবের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন আদালত।

রোববার (১৫ জুন) যশোরের সিনিয়র স্পেশাল জজ (জেলা জজ) শেখ নাজমুল আলম এই আদেশ দেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে মামলাটি পরিচালনাকারী আইনজীবী আশরাফুল আলম পল্লব বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

দুদক সূত্রে জানা গেছে, সাবেক চেয়ারম্যান সাইফুজ্জামান পিকুল তার দায়িত্ব পালনকালে সড়ক ও মহাসড়কের গাছ বিক্রিসহ বিভিন্ন প্রকল্পে অনিয়মের মাধ্যমে বিপুল অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। তার বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্য, জমি ইজারা ও দোকান বরাদ্দের টাকা আত্মসাতেরও অভিযোগ রয়েছে। এসব অবৈধ অর্থ দিয়েই তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের মালিক হন।

স্থানীয়দের মধ্যে তিনি ‘গাছখেকো পিকুল’ নামেই পরিচিত। অভিযোগ রয়েছে, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান থাকাকালে তিনি যশোর জেলার সড়ক ও মহাসড়কের হাজার হাজার গাছ কেটে বিক্রি করে সেই অর্থ ব্যক্তিগত স্বার্থে ব্যবহার করেন।

দুদকের যশোর জেলা সমন্বিত কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক ও অনুসন্ধান কর্মকর্তা জালাল উদ্দিন জানিয়েছেন, কমিশনের প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশে সাইফুজ্জামান পিকুল ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে অনুসন্ধান চলছে। মামলার স্বার্থে গত ২৯ মে তিনি আদালতে তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আবেদন করেন।

পিকুলের বড় ছেলে তানজীব নওশাদ পল্লব ছিলেন নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের যশোর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক। গত বছরের ২৩ আগস্ট তিনি বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় আটক হয়েছিলেন। পরে জামিনে মুক্তি পেয়ে তিনি পুনরায় পালিয়ে গেছেন বলে জনশ্রুতি রয়েছে।

ধারণা করা হচ্ছে, প্রধান অভিযুক্ত সাইফুজ্জামান পিকুল শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পরপরই দেশত্যাগ করেছেন। তার স্ত্রী ও ছোট ছেলে বর্তমানে কোথায় অবস্থান করছেন, সে বিষয়ে নিশ্চিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি, তবে তারা দীর্ঘদিন ধরে যশোরে অনুপস্থিত।