চৌগাছার নারায়ণপুরে বৃষ্টির পানিতে ধসে পড়েছে পাকা সড়কের এক পাশ, বড় ধরনের দুর্ঘটনার শঙ্কা

0

মুকুরুল ইসলাম মিন্টু, চৌগাছা (যশোর) ॥ চৌগাছায় বৃষ্টির পানিতে পিচের সড়কের নিচের মাটি সরে একপাশ ধসে পড়েছে। দ্রুত সড়কের ভাঙা স্থানটি মেরামত করা না হলে যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশংকা করছেন সড়কে চলাচলকারী পথচারী ও গাড়ির চালকরা।

উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নের হাজারাখানা গ্রাম সংলগ্ন ডিভাইন ফিড মিলসের সামনে হঠাৎ ভয়াবহ ভাঙন দেখা দেয়। সড়কের দুই পাশের মাটি বিলের সাথে বেশ কয়েকবার মিশে যাওয়ায় সেখানে টিন আর বাঁশের মাধ্যমে বেড়া তৈরি করে ভাঙনরোধের চেষ্টা করা হয়। বৃষ্টি না হলে ভাঙনের তেমন কোনো সমস্যা হয় না বলে জানান এলাকাবাসী, তবে বৃষ্টি হলেই ঘটে বিপত্তি। সম্প্রতি একটানা বৃষ্টির পানিতে সড়কে আবার দেখা দিয়েছে ভাঙন। পাকা পিচের নিচ হতে মাটি ধসে পাশে নিচু জায়গায় মিশে গেছে। সৃষ্টি হয়েছে বড় গর্তের। দিন যত যাচ্ছে ভাঙনের পরিধি ততই বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমানে পাকা পিচের নিচ হতে মাটি ধসে শুন্য হয়ে গেছে পিচের নিচ। ভুলবশত কোনো যানবাহন যদি ওই পিচের ওপরে উঠে যায় তাহলে নিশ্চিত দুর্ঘটনার কবলে পড়বে বলছেন পথচারীরা। এই বিষয়টি মাথায় রেখে স্থানীয়রা সেখানে বাঁশে লাল কাপড় বেঁধে সকলকে সচেতন করার চেষ্টা করছেন।

বৃহস্পতিবার সরেজমিনে দেখা যায়, সড়কের বেশ খানিকটা এলাকা ভেঙে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। পথচারী নজরুল ইসলাম বলেন, চরম ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। তিনি পার্শ্ববর্তী চাঁদপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। ব্যবসার সুবাধে তাকে প্রতি দিনই চৌগাছা শহরে যেতে হয়। কিন্তু ভাঙন স্থানে এলে অনেক সতর্কতার সাথে পার হতে হয়। এটি যত দ্রুত মেরামত করা হবে ততই মঙ্গল। বাবুল আক্তর নামের অপর এক পথচারী বলেন, সড়কটির গুরুত্ব খুবই বেশি। সেই দিকটি বিবেচনা করে ভাঙন মেরামত দ্রুতই করতে হবে অন্যথায় ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে।

বাসচালক নজরুল ইসলাম, রাজু আহমেদ, রেজাউল ইসলাম বলেন, প্রায় সময়ে ওই স্থানে ভাঙন দেখা দেয়। এর আগে সড়কের পাশের মাটি ধসে পাশে নিচু জায়গায় মিশে গেছে। সে সময়ে টিন বাঁশ দিয়ে ওই ভাঙন রোধ করা হয়। বর্তমনে পাকা সড়কের একটি অংশ ভেঙে গেছে। পিচের নিচের মাটি সরে যাওয়ায় হুমকির মুখে সড়কটি। ভাঙন স্থানে বাড়তি সতর্কতা নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। এটি দ্রুতই মেরামত করা জরুরি। স্থানীয় বাসিন্দা বিএম বাবুল আক্তার, ভুট্টো খান বলেন, চৌগাছা-মহেশপুর সড়কটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

পাশ্ববর্তী মহেশপুর উপজেলাবাসীর চৌগাছায় আসার এই একটি মাত্র সড়ক। এছাড়া চৌগাছা ও মহেশপুর উপজেলার চাষিরা তাদের উৎপাদিত ফসল নিয়ে এই সড়ক দিয়ে চৌগাছায় আসেন। চৌগাছা হতে প্রতি দিন একাধিক যাত্রীবাহী বাস এই সড়ক দিয়ে ঢাকার উদ্যেশ্যে ছেড়ে যায়। এমন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে যা সব ধরনের যানবহন চলাচলে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মনিরুজ্জামান মিলন বলেন, ওই স্থানটি বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। সড়কের পাশে নিচে হতে ঢালাই করে তুলতে হবে অন্যথায় ভাঙনরোধ সম্ভব না। আর এই কাজে সরকারি সহযোগীতা প্রয়োজন।

পার্শ্ববর্তী স্বরুপদাহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল কদর বলেন, যে স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে সেটি নারায়ণপুর ইউনিয়নের ভেতরে।

নারায়ণপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহিনুর রহমান শাহিনের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। উপজেলা প্রকৌশলী রিসায়াত ইমতিয়াজ বলেন, ভাঙনের খবরটি আমি জানতে পেরেছি। দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।