শ্রীপুরে অচেতন করে লুটের ঘটনা অপপ্রচার, পুলিশের সংবাদ সম্মেলন

0

শ্রীপুর (মাগুরা) সংবাদদাতা॥ মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার হরিন্দি গ্রামে এক পরিবারের সব সদস্যকে চেতনানাশক প্রয়োগ করে সর্বস্ব লুটের ঘটনাকে ভিন্ন খাতে নেওয়ার জন্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে শ্রীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ইদ্রিস আলী থানায় প্রেস ব্রিফিং করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন পরিদর্শক (তদন্ত) আবু বকর, শ্রীপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি ড. মুসাফির নজরুল, সাধারণ সম্পাদক নাসিরুল ইসলাম ,উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি মনোরঞ্জন সরকার, উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক রথীন্দ্রনাথ বিশ্বাস প্রমুখ।

প্রেস ব্রিফিংয়ে অফিসার ইনচার্জ জানান, শ্রীপুর থানার হরিন্দি গ্রামের কিশোর কুমার রায় (মধু ঠাকুরের) ও হিমাংশু শেখর রায়ের বসতবাড়িতে গত ২৭ মে মঙ্গলবার রাত ১০ টা হতে ২৮ মে বুধবার সকাল ৯ টার মধ্যে অজ্ঞাতনামারা চেতনাশক প্রয়োগ করা হয়। ফলে রায় কিশোর কুমার মধু ও তার স্ত্রী রায় নিপু চন্দনাসহ পরিবারের সদস্যরা খাওয়া-দাওয়া শেষে জ্ঞান হারান।

২৮ মে বুধবার সকাল ৯টার দিকে মাঝিপাড়ার জনৈক সুজিতের মা ওই বাড়িতে যাওয়ার পর ডাকাডাকির একপর্যায়ে বাড়ির লোকজনের সাড়া শব্দ না পেয়ে স্থানীয়দের জানালে তারা ৩ জনকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে মাগুরা ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।

২৮ মে বুধবার বিকেলে তাদের জ্ঞান ফিরলে মধু ঠাকুরের স্ত্রী তার ব্যবহৃত কানের সোনার দুল ও হাতের দুটি বালা পাওয়া খোয়া গেছে বলে জানান। থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখতে পায়, বাড়ির প্রধান ফটকে তালা দেওয়া।

ঘটনার বিষয়ে স্থানীয়ভাবে প্রকাশ্যে ও গোপনে তদন্তকালে জানা যায়, রায় হিমাংশু শিখর রাতে অসুস্থ হয়ে পড়লে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক রনজিত ২৭ মে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে ওই বাড়িতে গিয়ে তার পেশার মেপে উন্নত চিকিৎসার জন্যে হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ দেন। এ সময় ধর্ষণ বা ডাকাতির মতো কোনো ঘটনা ঘটেনি।

এ বিষয়ে তাদের পরিবারের অপর সদস্য সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. হিমাদ্রি শেখর রায়ও অপপ্রচার থেকে বিরত থাকতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট দিয়েছেন। কিন্তু কিছু অসাধু ব্যক্তি একে ভিন্নখাতে নেওয়ায় অপচেষ্টা চালাচ্ছেন।