কৃষকদল নেতা তরিকুল হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে নওয়াপাড়া বাজারে ধর্মঘট

শোকাহত পরিবারের পাশে নার্গিস বেগমসহ নেতৃবৃন্দ

0

নজরুল ইসলাম মল্লিক, অভয়নগর (যশোর) ॥ অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়া পৌর কৃষকদলের সভাপতি তরিকুল ইসলাম হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে শনিবার সকাল থেকে দুপুর পযর্ন্ত নওয়াপাড়া বাজারের সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে ধর্মঘট পালন করেন ব্যবসায়ীরা। ধর্মঘট চলাকালে নওয়াপাড়া মোকাম থেকে কোনপ্রকার সার সিমেন্টসহ কোনো পণ্য সরবারাহ করা হয়নি।

নিহত তরিকুল ইসলাম নওয়াপাড়া বাজারের একজন ব্যবসায়ী ছিলেন। এসময় স্থানীয় বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনসমূহ নওয়াপাড়া বাজারে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি নওয়াপাড়া বাজারের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে এক পথসভায় বক্তব্য রাখেন, অভয়নগর থানা বিএনপির সভাপতি ফারাজী মতিয়ার রহমান, সাবেক মেয়র শ্রমিকদল নেতা রবিউল হোসেন, নিহত তরিকুলের বড় ভাই রফিকুল ইসলাম টুলু।

এদিকে শনিবার সকালে নিহত কৃষকদল নেতা তরিকুল ইসলামের গ্রামের বাড়ি ধোপাদীতে যান বিএনপির কেন্দ্রীয় ও জেলা নেতৃবৃন্দ। তরিকুল ইসলামের শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাতে বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক নার্গিস বেগম, বিএনপি নির্বাহী কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা বিভাগ) অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য,কৃষক দলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক ইঞ্জি. টি এস আইয়ুব,যশোর জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাড. সৈয়দ সাবুরুল হক সাবু, সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন। সেখানে অভয়নগর থানা বিএনপির সভাপতি ফারাজী মতিয়ার, সাধারণ সম্পাদক কাজী গোলাম হায়দার ডাবলু, সাবেক মেয়র রবিউল হোসেন পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিমসহ থানা ও পৌর বিএনপি অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক নার্গিস বেগমকে কাছে পেয়ে নিহত তরিকুল ইসলামের মা কান্নায় ভেঙে পড়েন। অধ্যাপক নার্গিস বেগম তরিকুল ইসলামের মাকে জড়িয়ে সান্ত্বনা দেন, এবং বলেন কৃষকদল নেতা তরিকুল ইসলাম দলের নিবেদিত একজন নেতা ছিলেন। তার মৃত্যুতে দলের অনেক ক্ষতি হয়েছে। যা পূরণ হবার নয়। অবিলম্বে হত্যাকারীদের আইনের আওয়াতায় এনে বিচার করার জন্য প্রশাসনের প্রতি দাবি জানান তিনি।

বিএনপি নেতৃবৃন্দ তরিকুল ইসলাম হত্যাকাণ্ডের পর সুন্দলী ডহর মশিহাটি সহিংসতার ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত এলকা পরিদর্শন করেন এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করে তাদের পাশের থাকার কথা আশ্বাস দেন। এই রির্পোট লেখা পর্যন্ত কোনো মামলা দায়ের হয়নি।