যশোরে আ.লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ৫ নেতার বাড়িতে পুলিশের অভিযান

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সাইফুজ্জামান পিকুলসহ আওয়ামী লীগ ও দলটির সহযোগী সংগঠনের ৫ নেতার বাড়িতে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। গতকাল রোববার দুপুরে শহরের পুরাতন কসবা এলাকায় এ অভিযানে ডিবি ও কোতয়ালি থানার বিপুল সংখ্যক পুলিশ অংশ নেন। পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, সন্ত্রাসীরা জড়ো হচ্ছেন এমন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়। তবে অভিযানে পুলিশ কাউকে আটক করতে পারেনি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুর ১২টার দিকে ডিবি ও কোতয়ালি থানার গাড়িতে বিপুল সংখ্যক পুলিশ প্রথমে শহরের পুরাতন কসবা কাঁঠালতলা এলাকায় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদারের বাড়ি ও পাশে তার অফিসে অভিযান চালায়। এরপর পর্যায়ক্রমে জেলা যুবলীগের প্রচার সম্পাদক ও ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক পৌর কাউন্সিলর শেখ জাহিদ হোসেন মিলন ওরফে টাক মিলন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম জুয়েল, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সাইফুজ্জামান পিকুল এবং জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বিপুলের বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ। সূত্র জানায়, পুলিশ যাদের বাড়িতে অভিযান চালিয়েছে তারা ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর থেকে পলাতক রয়েছেন।

ডিবি পুলিশের ওসি মো. মঞ্জুরুল হক ভূঞা জানান, কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তির বাড়িতে তারা অভিযান চালাননি। সন্ত্রাসীরা জড়ো হচ্ছেন এবং মাদক ব্যবসায়ীরা অবস্থান করছেন এমন তথ্যের ভিত্তিতে তারা অভিযান চালিয়েছেন। তবে অভিযানে কাউকে আটক করা যায়নি।

কোতয়ালি থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) কাজী বাবুল হোসেন জানান, দলীয় পরিচয়ের কারো বাড়িতে তারা অভিযান চালাননি। সন্ত্রাসীদের খোঁজে তারা বিভিন্ন ব্যক্তির বাড়ির সামনে অবস্থান নিয়েছিলেন।

এদিকে ৫ আগস্টের পর শহরের পুরাতন কসবায় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদারসহ আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের নেতাদের বাড়িতে পুলিশ অভিযান চালানোর খবর প্রচার হওয়ায় ব্যাপক কৌতুহলের সৃষ্টি হয়। তবে দেরিতে হলেও পুলিশ এ ধরনের অভিযান চালানোয় সাধারণ মানুষ সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

সাধারণ মানুষের অভিযোগ, পুরাতন কসবা ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের ঘাঁটি। ৫ আগস্টের পর পুলিশ ওই এলাকায় নিয়মিত অভিযান চালালে অস্ত্র উদ্ধার এবং চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের হয়ত আটক করতে পারতো। কিন্তু বিলম্ব করায় সন্ত্রাসীরা পালানোর সুযোগ পেয়ে গেছে। যে কারণে রোববারের অভিযানে কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।