পরিবারের আপত্তির মুখে জুলাই আন্দোলনে শহীদ মুত্তাকিনের লাশ উত্তোলন হয়নি

0

শ্রীপুর (মাগুরা) সংবাদদাতা ॥ পরিবারের আপত্তির কারণে ময়না তদন্তের জন্য উত্তোলন করা যায়নি জুলাই বৈষমবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ হাফেজ মুত্তাকিনের মরদেহ। মঙ্গলবার সকালে মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার বরইচারা গ্রামের পারিবারিক কবরস্থান থেকে লাশ উত্তোলন করতে যেয়ে আপত্তির মুখে ফিরে যান প্রশাসনের প্রতিনিধিরা।

বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে মাগুরার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এনডিসি) উপস্থিতিতে মুত্তাকিনের লাশ উত্তোলনের জন্য বরইচারা কবরস্থানে আসেন তদন্তকারী সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) পরিদর্শক সৈয়দ সাজেদুরসহ সংশ্লিষ্টরা।

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাগুরার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এনডিসি) মোজাহিদুল ইসলাম ও ডা. কৃষ্ণ বিশ্বাস। সকাল থেকে লাশ উত্তোলনের চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত পরিবার, আত্নীয়-স্বজন, গ্রামবাসী ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বাঁধার মুখে লাশ উত্তোলনে না করেই ফিরে যেতে হয় তাদের।

জানা যায়, বৈষম বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ২০ জুলাই মিরপুর- ১০ নম্বরে ফায়ার সার্ভিসের সামনের রাস্তায় মাথায় গুলি লেগে শহীদ হন মুত্তাকিন। পরবর্তীতে ওই ঘটনায় মুত্তাকিনের বড় ভাই মো. শিহাবুল ইসলাম ঢাকা মিরপুর থানায় পেনাল কোডের ৩০২ /১৪৯/৩৪ ধারায় একটি মামলা করেন দায়ের করেন। মামলা নম্বর ১৩(৯)২৪।

তারই প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার সকালে বরইচারা গ্রামের কবরস্থান থেকে মরদেহ উত্তোলণের জন্য আসেন ঢাকা মেট্রো উত্তর পিবিআই। মরদেহ উত্তোলনে আপত্তি জানায় পরিবারের লোকজন। তখন ঘটনাস্থলে উপস্থিত তদন্তকারী কর্মকর্তা এবং অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোজাহিদুল ইসলাম সময় দিয়ে আদালতের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।

মামলার বাদী মুত্তাকিনের বড় ভাই মো. শিহাবুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, মামলাটির তদন্তকারী সংস্থা পিবিআই থেকে আমাদের সঙ্গে আগে যোগাযোগ করা হয়েছিল মরদেহ উত্তোলনের জন্য। আমরা বরাবরই মরদেহ উত্তোলনের বিষয়ে আপত্তি জানিয়ে আসছি। পিবিআই আদালতের মাধ্যমে সব কাজ সম্পন্ন করে মরদেহ উত্তোলনের জন্য আসেন।

আমরা খবর পেয়ে এখানে এসে আপত্তি জানাই। তারা লিখিতভাবে আবেদন দিতে বললে, আমি, আমার মা রহিমা খাতুন ও মুত্তাকিনের স্ত্রী নায়মা এরিন নিতু লিখিত আপত্তি দিয়েছি। তখন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এবং তদন্তকারী কর্মকর্তা আমাদের আদালতের মাধ্যমে বিষয়টি এগিয়ে নেওয়ার কথা জানান।