বেনাপোল সড়কে চলন্ত ট্রাকের ওপর ভেঙে পড়লো মৃত প্রাচীন বৃক্ষ

0

শার্শা (যশোর) সংবাদদাতা॥ যশোরের শার্শা উপজেলার যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের নাভারণ বাজারে ব্যাস্ততম নাভারন কলেজের সামনে চলন্ত ট্রাকের উপর ভেঙে পড়েছে বিশাল একটি মৃত কৃষ্ণচূড়া গাছ।

এসময় যশোর-বেনাপোল মহাসড়কে এক ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ ঘটনা ঘটে মঙ্গলবার সকাল ১১টার সময় নাভারন কলেজের সামনে। এ ঘটনায় ট্রাকের চালক ও এক জন ভ্যানচালক আহত হন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের শার্শা উপজেলার নাভারন বাজারের বুরুজবাগান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান গেটের সামনে রাস্তার পাশে একটি কৃষ্ণচুড়া গাছের বড় ডাল হঠাৎ করে চলন্ত একটি ট্রাকের (যশোর ট ১১ -৬০৪২) ওপর ভেঙে পড়েছে। খবর পেয়ে নাভারন হাইওয়ে থানার পুলিশ এবং বেনাপোল ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে যৌথভাবে ট্রাকের উপর থেকে গাছটি সরিয়ে ফেলে।

এসময় যান চলাচল বন্ধ ছিল এক ঘণ্টা। এ অবস্থায় রাস্তার দুই পাশে বিপুল সংখ্যক গাড়ির জট বাধে।
নাভারন হাইওয়ে থানার ওসি রোকনুজ্জামান বলেন, ট্রাকের ওপর ভেঙে পড়া কৃষ্ণচূড়া গাছের ডাল সরিয়ে ফেলা হয়েছে।

শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ডা. কাজী নাজিব হাসান বলেন, ঘটনা শোনামাত্র প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, যশোর-বেনাপোল ও নাভারণ-সাতক্ষীরা মহাসড়কের সকল ঝুকিপূর্ণ মৃত গাছ অপসারণের প্রয়োজনীয ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে এ ঘটনার পর একই দিন বিকেলে যশোরের শার্শা উপজেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের দুই পাশে মৃত বা অর্ধ মৃত গাছ অপসারণের দাবিতে এক মানববন্ধন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। নাভারণ কলেজের পাশে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।

এ সময় বক্তব্য দেন নাগরিক পরিষদের খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আশিক ইকবাল, শার্শা উপজেলা নাগরিক পার্টির নেতা মুরাদ উদ দৌলা, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা নেতা রাসেল মাহমুদ, শার্শা উপজেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের হাফেজ মাওঃ মোস্তফা কামাল, আহনাফ সুজন, আব্দুল্লাহ গালিব, আহসান উল্লাহ,রাতুল হাসান প্রমুখ।

বক্তারা আগামী ১৫ দিনের মধ্যে যশোর-বেনাপোল মহাসড়ক ও নাভারন-সাতক্ষীরা মহাসড়কের দুই পাশে মৃত ও অর্ধ মৃত ঝুকিপূর্ণ গাছগুলো অপসরনের দাবি জানান।

তারা বলেন নাভারণ বাজারে মৃত ও অর্ধমৃত ঝুকিপূর্ণ মরা গাছ যে কোন সময় পথচারী মানুষের প্রান কেড়ে নিতে পারে । সে জন্য মানুষের জান ও মাল বাঁচাতে অতিদ্রুত আগামী বর্ষা মৌসুম আসার আগেই রাস্তার দুই ধারের মৃত ও অর্ধ মৃত মরা গাছগুলো অপসারণ প্রয়োজন।

তারা শার্শা উপজেলা প্রশাসন, সড়ক ও জনপথ বিভাগ ও যশোর জেলা প্রশাসনের দৃষ্টি ও হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।