মহেশপুরে অন্যের জমি দখল করে ড্রাগন চাষের অভিযোগ

0

কোটচাঁদপুর (ঝিনাইদহ) সংবাদদাতা॥ অন্যের জমি জোর করে দখলে রেখে ড্রাগন চাষ করার অভিযোগ উঠেছে মহেশপুর উপজেলার মালাধরপুর গ্রামের প্রভাশালী শুকুর আলী ও তার ভাই সবুর আলীর নামে। বিষয়টি নিয়ে এসিল্যান্ড অফিস ও থানায় অভিযোগ করেও ফল না পেয়ে অবশেষে আদালতের আশ্রয় নিয়েছেন জহর আলী মন্ডল।

ভুক্তভোগী মালাধরপুর গ্রামের জহর আলী মন্ডল অভিযোগ করেন- মহেশপুরের ১৪০নং মালাধারপুর মৌজার সাবেক দাগ ১৫৮, হালদাগ ৮৩- এ মোট জমি ২২ শতক জমির মধ্যে ১২শতক ওয়ারিশ সূত্রে জমির মালিক জাহিদা খাতুন ছেলে কহিরুদ্দীন খান, মফিজ উদ্দীন ও শফিউদ্দীন। ২০০৩ সালে ১০ মার্চ মালিকদের কাছ থেকে জহর আলী মন্ডল ১২শতক জমিসহ একই দলিলে ৮১ ও ৮২ দাগ থেকে মোট ৩৫ শতক জমি কেনেন।

ক্রয়কৃত জমি পরে নিজ নামে নামজারি ও রেকর্ড করে নেন। অথচ ওই ৮৩ দাগের বাকি ১০ শতকের জমি মালিক মোশারফ খাঁ ভুয়া দলিল দেখিয়ে ২০০৪ সালে ওই দাগ থেকে ১৫ শতক জমি বিক্রি করেন এলাকার শুকুর আলী ও তার ভাই সবুর আলীর কাছে। যা কাগজপত্রে গরমিল থাকায় চেষ্টা করেও শুকুর আলী ও সবুর আলী আজ পর্যন্ত নিজ নামে নামজারি বা রেকর্ড করতে পারেননি। অথচ শুকুর আলী ও সবুর আলী ৮৩ দাগে জমি কম থাকায় আগে কেনা সূত্রে জমির মালিক জহর আলীর বৈধ দলিল ও নামজারি বা রেকর্ড থাকলেও তার ১২শতক জমি প্রভাব খাটিয়ে দখল করে নেন। বর্তমানে ওই জমি রাস্তার পাশে তারের বেড়া দিয়ে ঘিরে ড্রাগনের চাষ করছেন তারা। এই ঘেরার ফলে ভুক্তভোগী জহর আলী তার অন্য জমিতেও যেতে পারছেন না। ফলে তার ফসলাদি নষ্ট হচ্ছে।

জহর আলী আরো অভিযোগ করেন, মোশারফ খাঁ ওয়ারিশ ও ক্রয় সূত্রে পাওয়া ৮৩ দাগে ৫৬ শতক অতিরিক্ত জমি দেখিয়ে শুকুর আলী ও সবুর আলী কাছে জমি বিক্রি করেন। মোশারফ খাঁর ৮৩ দাগে হিস্যা অনুযায়ী ৬.২৫ শতক জমি পাবেন। অথচ ওই দাগে ১৯৭৫ সালের এপ্রিল মাসের ২৯ তারিখের নিজ নামে ক্রয় করা জমিসহ ওয়ারিশ সূত্রে পাওয়া জমির দলিল দেখান ৫৬ শতক। অথচ ওই তারিখে এই নামে কোন জমি রেজিস্ট্রি হয়নি। মোশারফ খাঁ ভুয়া দলিলের মাধ্যমে জমি রেজিস্ট্রি করায় জমি ক্রেতা শুকুর আলী ও তার ভাই সবুর আলী আজ পর্যন্ত জমির নাম পত্তন বা নাম জারি করতে পারেননি।

এ ব্যপারে অভিযুক্ত শুকুর আলী জানান, মোশারফ খাঁর কাছ থেকে তিনি ও তার ভাই সবুজ আলী ১৬ শতক জমি ক্রয় করেছেন। তবে তারা ১০ শতক জমির নামজারি করতে পেরেছেন বলে জানান। এর বাইরে আর কোন মন্তব্য করতে চাননি শুকুর আলী।

জহর আলী বিশ্বাস কিছু দিন আগে বিষয়টি প্রতিকারের জন্যে স্থানীয় এসিল্যান্ড অফিস ও থানায় অভিযোগ করেন। প্রশাসন থেকে অভিযুক্ত শুকুর আলী ও সবুর আলীকে ডাকা হলেও তারা কাঙ্খিত কাগজপত্র দেখাতে ব্যর্থ হন। তারপরও তারা জমিটি জোর করে দখলে রেখে চাষ করছেন। শেষ পর্যন্ত উপায় না পেয়ে জহর আলী আদালতের দারস্থ হয়েছেন।