ডুমুরিয়ায় ৪ গরুচোর আটক, ৫টি গরু উদ্ধার

0

ডুমুরিয়া (খুলনা)সংবাদদাতা॥ খুলনার ডুমুরিয়া থানা পুলিশের অভিযানে আন্তঃজেলা গরুচোর চক্রের ৪ সদস্য আটক হয়েছে। এ সময় চুরি যাওয়া ৫টি গরু, একটি পিকআপ, ১টি গ্রিলকাটা অস্ত্র ও একটি বড় হাসুয়া উদ্ধার হয়েছে। রোববার দুপুরে ডুমুরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মাসুদ রানা এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন।

আটকৃতরা হলেন, বাগেরহাট সদরের দশআনী গ্রামের ইসমাইল হাওলাদারের ছেলে জুয়েল হাওলাদার (৩২), খুলনার রূপসার নৈহাটি গ্রামের হাবিব শেখের ছেলে সালমান শেখ (১৯), মোল্লাহাটের কোদালিয়া গ্রামের ইবুল শেখের ছেলে রাসেল শেখ (২৬) ও একই উপজেলার কাহালপুর গ্রামের সাহেব আলীর ছেলে ইকবাল হোসেন (২৭)।

পুলিশ জানায়, শনিবার দুপুরে ডুমুরিয়া উপজেলার মেছাঘোনা এলাকার মতিউর রহমানের একটি গরু চুরি করে পিকআপে তুলে খুলনার দিকে নিয়ে যাওয়ার খবর পেয়ে পুলিশ খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কের ডুমুরিয়া ফায়ার সার্ভিসের সামনে থেকে চোরদের পিকআপ আটকানোর চেষ্টা করে। তখন পিকআপে থাকা খালি তেলের ড্রাম পুলিশকে লক্ষ্য করে নিক্ষেপ করা হয়।

এ সময় পুলিশের এস.আই মিজানুর রহমান ফোর্স নিয়ে গাড়ির পিছু নেন। চোরচক্র পথে বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের ওপর ড্রাম নিক্ষেপ করে প্রতিরোধের চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে পুলিশের ধাওয়ায় পিকআপটি গুটুদিয়া ওয়াপদার মাথা হয়ে শলুয়া বাজার দিয়ে বাইবাস রোড হয়ে আড়ংঘাটা, কৈয়া হয়ে রাজবাঁধ এলাকায় জনৈক আরিফের চায়ের দোকানের সামনে পৌঁছালে স্থানীয় জনগণের সহায়তায় ১টি গরুসহ ৩ চোরকে পুলিশ আটক করে।

এ সময় ফকিরহাটের ইমদাদ নামের এক চোর পালিয়ে যায়। পুলিশ পিকআপটি জব্দ করে। পরে আটক চোরদের স্বীকারোক্তিতে থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আক্তারুজ্জামান লিটনের নেতৃত্বে গভীর রাত পর্যন্ত মোল্লাহাট এলাকায় অভিযান চলে। সেখান থেকে চোরচক্রের অন্যতম সদস্য মোল্লাহাটের কাহালপুর এলাকার মাংস বিক্রেতা ইকবাল হোসেনকে আটক করা হয়। তার স্বীকারোক্তিতে একই গ্রামের অপর মাংস বিক্রেতা হুমায়ুন মীরের বাড়িসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে চুরি যাওয়া আরও ৪টি গরু উদ্ধার করে পুলিশ।

তবে হুমায়ুন পুলিশের উপস্থিতি বুঝতে পেরে তারা পালিয়ে যান। এ চক্রের সদস্যরা খুলনা, বাগেরহাট, গোপালগঞ্জ, সাতক্ষীরা, যশোরসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে গরু চুরি করে আসছিল।