মহেশপুর সীমান্তে বাংলাদেশিকে নির্যাতনের পর মৃত ভেবে ফেলে গেল বিএসএফ

0

আসিফ কাজল, ঝিনাইদহ ॥ ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্তে ফারুক হোসেন (৪২) নামে এক বাংলাদেশিকে অকথ্য নির্যাতন করেছে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীবাহিনী বিএসএফ। নির্যাতনের পর মৃত ভেবে তাকে মহেশপুরের কুমিল্লাপাড়া এলাকায় ফেলে রেখে যায়। ফারুক হোসেন নড়াইেেলর কালিয়া উপজেলার বেরলি গ্রামের মোতালেব শেখের ছেলে।

রোববার সীমান্তের কুমিল্লাপাড়া মাঠে সকালে কৃষকরা কাজ করতে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে। ফারুককে মুমূর্ষু অবস্থায় স্থানীয় নেপার মোড়ের একটি ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। কিছুটা সুস্থ হলে রোববার দুপুরে তার স্বজনরা নিজ এলাকায় নিয়ে যান। স্থানীয় ইউপি মেম্বার ওবাইদুল ইসলাম খবর নিশ্চিত করে জানান, রাত সাড়ে ১২টার দিকে ফারুক হোসেন স্ত্রী হাসি শেখ ও কন্যা আয়েশাকে নিয়ে খোসালপুর বর্ডার দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করছিলেন।

এ সময় তিনি বিএসএফের হাতে আটক হয়ে নিষ্ঠুর নির্যাতনের শিকার হন। আহত ফারুক হোসেন গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, ভারতের বরণবেড়ে ১৯৪ ব্যাটালিয়ন বিএসএফের হাতে আটক হওয়ার পর তার গলায় দড়ি বেঁধে টানতে টানতে সীমান্তের দিকে মৃত ভেবে ছুঁড়ে ফেলে দেয়। রোববার ভোরের দিকে তার জ্ঞান ফিরে আসে।

তিনি আরও জানান, ১০ বছর ধরে স্ত্রীকে নিয়ে ভারতের ভেলর এলাকায় বসবাস করে আসছিলেন। সেখানে তিনি বাংলাদেশি রোগীদের সহায়তা করতেন। রোগী কমে যাওয়ায় অবৈধ পথে তিনি ভারতের বরণবেড়ে সীমান্ত দিয়ে দেশে ফিরছিলেন। দেশে ফেরার পথে তাকে সহায়তা করেন ভারতের মধ্যে আলী হোসেন ও বাংলাদেশের মধ্যে বাঘাডাঙ্গা গ্রামের শাহজাহানের ছেলে মখলেছ ও একই গ্রামের আপিল উদ্দীনের ছেলে হাপি মণ্ডল নামে তিনজন দালাল। এই চক্রটি তার কাছ থেকে মাথা প্রতি ১৫ হাজার টাকা করে মোট ৪৫ হাজার টাকা নেয়।

এ ব্যাপারে মহেশপুর-৫৮ বিজিবির সহকারী পরিচালক সাইফুল ইসলাম জানান, বাংলাদেশি নির্যাতনের তথ্য সংগ্রহ করতে সীমান্ত এলাকায় খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। খোঁজ পেলে বিস্তারিত জানানো যাবে।