ইবিতে রেজিস্ট্রার পদ নিয়ে ভিসির কার্যালয়ে হট্টগোল

0

ইবি সংবাদদাতা॥ রেজিস্ট্রার পদকে কেন্দ্র করে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উপাচার্যের কার্যালয়ে শিক্ষকদের মধ্যে হট্টগোলের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, বেলা সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে অপসারণের দাবিতে উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে একটি পক্ষ হট্টগোল শুরু করে। পরে দুপুর পৌঁনে ১টার দিকে জিয়া পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. ফারুকুজ্জামান খান ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম ও শাখা ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা এ বিষয়ে উপাচার্যের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এসময় সেখানে থাকা সাংবাদিকদের বের করে দেওয়া হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উপউপাচার্য ও প্রক্টরিয়াল বডির মধ্যে বাকবিতন্ডার শুরু হয়। একপর্যায়ে সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. ফকরুল ইসলামকে ধাক্কা দেন উপ-উপাচার্য। উপ-উপাচার্য প্রক্টরকে ‘জামায়াত’ আখ্যা দিলে দুজনের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। তবে উপ-উপাচার্য এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

আরও জানা যায়, গত সোমবার রেজিস্ট্রার পদে থাকা আওয়ামীপন্থী কর্মকর্তা এইচ এম আলী হাসানকে সরিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্যে থেকে এ পদে নিয়োগের দাবিতে উপাচার্যের সাথে মতবিনিময় করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। ছাত্রদল ও বিএনপিপন্থী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাদের মনোনীত এক কর্মকর্তাকে রেজিস্ট্রার পদে চাওয়াকে কেন্দ্র করে এ ঘটনার সূত্রপাত হয়।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে এ ঘটনায় জড়িতদের বিচার দাবিতে ৪৮ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়ে কার্যালয় ত্যাগ করেন শিক্ষার্থীরা। পরবর্তীতে বেলা সাড়ে ৩টার দিকে গণমাধ্যমকর্মীদের দায়িত্বে বাধা ও শিক্ষক হেনস্তার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন ইবি সংসদ।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইবির সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, আজকের এই ঘটনা আমাদের জন্যে লজ্জাজনক। দোষীদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ৪৮ ঘন্টা সময় দিয়েছি। এরমধ্যে বিচার না করলে শিক্ষার্থীরা অন্য ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবো।

এ বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান বলেন, আমাকে কেন জামায়াত বলবে? আমি বিশ বছর ধরে বিএনপি করে আসছি। দলের ক্রান্তিলগ্নে আমি সামনের সারিতে থেকে বিএনপিকে নেতৃত্ব দিয়েছি।

উপউপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী বলেন, উপাচার্য কার্যালয়ে এক জুনিয়র শিক্ষক আমার সঙ্গে খারাপ আচরণ করেছে। কিন্তু উপাচার্য এর কোনো প্রতিবাদ করেননি। উপাচার্য এর বিচার না করলে আমি বিষয়টি অন্যভাবে দেখবো। আমি প্রক্টরকে ‘জামায়াত’ বলিনি। অন্য কোনো এক কর্মকর্তা তাকে এটা বলেছেন।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, উপাচার্যের কার্যালয়ে এমন ঘটনা অনাকাঙ্খিত। এ বিষয় নিয়ে কোনো তদন্ত হবে না। তবে শিক্ষকদের উভয়পক্ষের মধ্যে সমঝোতা করে দেব।