যশোরে হাউজিং সম্পত্তি বরাদ্দে দুর্নীতির অভিযোগে এলাকাবাসীর বিক্ষোভ

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে যশোর হাউজিং কর্তৃপক্ষের সম্পত্তি বরাদ্দে দুর্নীতি, অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির আশ্রয় নেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সোমবার যশোর শহরে এসব অনিয়ম, দুর্নীতি তদন্তের পাশাপাশি আওয়ামী লীগ আমলের ওই সকল বরাদ্দ বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে উপশহর এলাকাবাসী। এসময় তারা হাউজিং সম্পত্তি বরাদ্দে সুনির্দিষ্ট অনিয়ম তুলে ধরে যশোরের জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেন।

সকালে যশোর উপশহর এলাকার কয়েকশো নারী-পুরুষ মিছিল নিয়ে প্রেসক্লাবের সামনে সমবেত হন। এরপর তারা প্রেসক্লাব যশোরের সামনে মানববন্ধন করেন। এসময় মানববন্ধন থেকে এলাকাবাসী জানান, বিগত আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে জাল-জালিযাতিভাবে কোটা সৃষ্টি করে প্লট তৈরি করে তা দুর্নীতির মাধ্যমে বরাদ্দ দেয়া হয়। পরে এসব প্লট পতিত সরকারি দলের লোকজনরা হাউজিং কর্তৃপক্ষের যোগসাজসে পরিকল্পিত সাজানো লটারি করে বরাদ্দ দেয়। এক্ষেত্রে বিপুল পরিমাণ অর্থের হাতবদল হয় বলেও তারা অভিযোগ করেন।

এলাকাবাসীর অভিযোগে আরও বলেন, যশোর হাউজিং কর্তৃপক্ষ এর আগে কোনোপ্রকার নোটিস না দিয়ে সে সময়ের আওয়ামী বিরুদ্ধ মতাদর্শের লোকজনদের বাড়ি-ঘর উচ্ছেদ করে। পরে সেসব জায়গা বরাদ্দ দেয় তাদেরই লোকজদের নামে। আওয়ামী মতাদর্শের এসব কর্মকর্তারা এখনও হাউজিংয়ে বসে আছে। এদেরকে এখনই উচ্ছেদ করা জরুরি হয়ে পড়েছে।

তারা বলেন, বরাদ্দের নিয়মনীতি না মেনে তারা একই পরিবারকে দুই বা তার বেশি প্লট বরাদ্দ দেয়। এমনকি প্লট বুঝিয়ে দেয়ার ক্ষেত্রে হাউজিং কর্তৃপক্ষ নানা বৈষম্য সৃষ্টি করে। এছাড়া অবৈধভাবে মনগড়া ভাবে ৫৪ টি প্লটের লটারি দেখিয়ে ৬৪ টি প্লট ঘোষণা দেওয়া এবং ১৪ টি প্লটের লটারি ছাড়া বাকি সবগুলো নাম ধরে ডেকে বৈষম্য নীতি অবলম্বন করে কোটা ভিত্তিক বরাদ্দ দেওয়া হয়। এসব বিষয়ে জরুরি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহনের দাবি জানান এলাকাবাসি। এসময় মানবন্ধনে এলাকাবাসির পক্ষে বক্তব্য রাখেন, খায়রুল বাশার, মো. বাবু ও আবু সাঈদ আজাদ।

মানববন্ধনে সংহতি প্রকাশ করে সেখানে অংশ নেন যশোর বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহবায়ক রাশেদ খান ও যুগ্ম আহবায় জান্নাতুল ফোয়ারা অন্তরা।

এসময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহবায়ক রাশেদ খান বলেন, যশোর হাউজিং এর সম্পত্তি বরাদ্দে বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ আমলে কোনো নিয়ম মানা হয়নি। এখানে বিপুল সংখ্যক লোক অধিকার বঞ্চিত হয়েছেন। এ বিষয়ে আমরা ছাত্ররাও এ বৈষম্যর অবসান চাচ্ছি। এজন্য দ্রুত এসব অনিয়ম তদন্ত করে দোষিদের শাস্তির ব্যবস্থা না করলে ছাত্ররা এলাকার জনগনকে নিয়ে রাজপথে নামতে বাধ্য হবে।