বাঘারপাড়ায় বিএডিসির সেচ প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ

0

বাঘারপাড়া (যশোর) সংবাদদাতা॥ বাঘারপাড়ায় বিএডিসির (বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন) সেচ প্রকল্পের ম্যানেজারের বিরুদ্ধে সেচের টাকা আত্মসাৎ ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনে বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত দিয়েছেন কৃষকরা। অভিযোগে ম্যানেজারের একক কর্তৃত্ব বাতিল করে সমবায় ভিত্তিতে সেচপ্রকল্প পরিচালনার দাবি করা হয়েছে। গত ১৫ জানুয়ারি ৪৫ জন কৃষক স্বাক্ষরিত অভিযোগপত্র উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও কৃষি অফিসারের দপ্তরে দাখিল করা হলেও আজ পর্যন্ত এর কোন সুরাহা হয়নি।

লিখিত অভিযোগে কৃষকরা উল্লেখ করেন, উপজেলার দরাজাহাট ইউনিয়নের পাইকপাড়া শ্মশ্মানঘাট এলএলপি ( লো লিফট পাম্প বা ভূ-পৃষ্টের উপরিভাগের পানি তোলা) সেচ প্রকল্পের ম্যানেজার বেলাল পারভেজ স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে সেচ পাম্পটি পরিচালনা করছেন। এর আওতাভুক্ত কৃষকদের মতামত ছাড়াই একক সিদ্ধান্তে পানির বিল নির্ধারণ করেন তিনি। এমনকি বছর শেষে আয়-ব্যয়ের হিসেবও দাখিল করেন না। এতে কৃষকরা বেশি দামে জমিতে সেচ দিতে বাধ্য হচ্ছেন। লভ্যাংশের টাকাও নিজের পকেটে ভরছেন তিনি। বেলাল পারভেজ পাইকপাড়া গ্রামের গফুর বিশ্বাসের ছেলে। গত ২৩ বছর ধরে তিনি কৃষকদের রেজুলেশন করা মতামত উপেক্ষা করেই এমন স্বেচ্ছাচারিতা করে চলেছেন ।

বাঘারপাড়া বিএডিসি অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২০১২ সালে পাইকপাড়া শ্মশানের পশ্চিম পাশে চিত্রা নদীতে ২ কিউসেক ক্ষমতা সম্পন্ন এলএলপি সেচ পাম্প স্থাপন করা করা হয়। সে সময় প্রকল্পটির ম্যানেজার হিসেবে বেলাল পারভেজের নাম ছিলো। এ সেচ পাম্পের মাধ্যমে সর্বোচ্চ ২শ ৫০ বিঘা কৃষিজমিতে সেচ দেওয়া সম্ভব।
এ প্রকল্পের ভুক্তভোগী কৃষক জহির রায়হান জানান, বেলাল নিজের মনমতো সেচের দাম নির্ধারণ করেন। আমন মৌসুমে ৮শ টাকা ও ইরি- মৌসুমে বিঘাপ্রতি ২হাজার টাকা সেচের দাম ধরেন। সেচ প্রকল্পটি সমবায় ভিত্তিতে পরিচালিত হলে এর অর্ধেক দামে সেচ দিতে পারবেন কৃষকরা।

পাইকপাড়া শ্মশ্মান ঘাট এলএলপি সেচ প্রকল্পের ম্যানেজার বেলাল পারভেজ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, নিয়মতান্ত্রিকভাবে আমাকে ম্যানেজার নিযুক্ত করেছেন সমিতির সদস্যরা। এর যাবতীয় কাগজপত্র ইউএনও অফিসে দেওয়া হয়েছে।

উপজেলা সেচ প্রকল্পের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার শোভন সরকার জানান, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। কোনো অনিয়ম পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।