ফকিরহাটে ওএমএসের ৬শ বস্তা চাল জব্দ, আটক ২

0

ফকিরহাট (বাগেরহাট) সংবাদদাতা ॥ ফকিরহাটে একটি গোডাউন থেকে ৬শ বস্তা ওএমএসের চাল জব্দ করেছে পুলিশ। সরকারি এ চাল কালোবাজারির সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে গোডাউন থেকে দুজনকে আটক করা হয়।
গত বুধবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ফকিরহাট মডেল থানার পুলিশ এ চাল জব্দ করে।
আটক ব্যক্তিরা হলেন, ফকিরহাট উপজেলার কাথলী গ্রামের প্রফুল্ল মজুমদারের ছেলে আশাতীত মজুমদার (২১) ও বারাশিয়া গ্রামের দাবির উদ্দীন ভূইঁয়ার ছেলে আব্দুর রসুল (৪৫)। আশাতীত হলেন ‘মজুমদার ভান্ডার’ নামে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও গোডাউনের মালিক প্রফুল্ল মজুমদারের ছেলে এবং আব্দুর রসুল ওই গোডাউনের কর্মচারী।
পুলিশ জানায়, নিম্ন আয়ের মানুষকে স্বস্তি দিতে সরকারের ওএমএস কার্যক্রমের আওতায় সারা দেশে কম মূল্যে চাল বিক্রি চলছে। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ৮টার দিকে মজুমদার ভান্ডার নামক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের গোডাউনে সরকারি খাদ্য অধিদফতরের লোগোযুক্ত ৩০ কেজির ৬শ বস্তা ওএমএসের চাল বাইরে বিক্রির উদ্দেশ্যে নুরজাহান ব্র্যান্ডের বস্তায় পরিবর্তন হওয়ার সংবাদ পায় পুলিশ। এ সময় অভিযান চালিয়ে ঘনটাস্থল থেকে সরকারি চালসহ দুইজনকে আটক করে পুলিশ। পরে ওই চাল জব্দ করা হয়।
মজুমদার ভান্ডারের মালিকের ছেলে আশাতীত মজুমদার জানান, বগুড়ার করতোয়া চাল কলের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান মেসার্স আসিফ এন্টারপ্রাইজ থেকে তারা ৩০ কেজি ওজনের ৬৬৭ বস্তা ওএমএসের চাল ৯ লাখ ৩৪ হাজার টাকায় কেনেন। বুধবার সকালে সেই চাল গোডাউনে পৌঁছালে বিভিন্ন দোকানে পাইকারি ও খুচরা বিক্রির জন্য নুরজাহান রাইস নামে একটি জনপ্রিয় ব্র্যান্ডের বস্তায় পরিবর্তনের কাজ শুরু করেন তারা। রাত সাড়ে আটটার দিকে পুলিশ এসে তাকে ও একজন কর্মচারীকে আটক করে এবং খাদ্য অধিদফতরের লোগোযুক্ত সব চাল জব্দ করে।
ফকিরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর কবির বলেন, রাতে অভিযান চালানোর পর তাৎক্ষণিকভাবে চালের বস্তাগুলো জব্দ করা হয়েছে। বস্তাগুলো থানা হেফাজতে নেওয়ার কাজ শুরু করা হয়েছে। ঘনটাস্থল থেকে দুইজনকে আটক করা হয়েছে।