যশোর জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের বিরুদ্ধে অসাম্প্রদায়িক পরিবেশ বিঘ্নিতের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত

0

 

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোরের অসাম্প্রদায়িক ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিঘ্নিত করতে গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে পূজা উদযাপন পরিষদ। বিগত সরকারের আমলে একটি দেশের এজেন্ডা বাস্তায়নে তৎপর থাকা পূজা উদযাপন পরিষদের নেতারা এখনো সামনের চেয়ার দখল করে আছে। প্রশাসন তাদের আটকের পরিবর্তে সম্মান দিয়ে চলেছে। এ দাবি বৈষম্য বিরোধী সনাতন সমাজের।
প্রেসক্লাব যশোর মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ দাবি করেন বৈষম্য বিরোধী সনাতন সমাজ নেতৃবৃন্দ। গেল বছরের ৯ অক্টোবর বৈষম্য বিরোধী সনাতন সমাজের নেতৃবৃন্দকে চিহ্নিত দুর্বৃত্ত উল্লেখ করে জেলা প্রশাসন বরাবর স্মারকলিপি দেয় পূজা উদযাপন পরিষদ। এ স্মারকলিপি প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয় সংবাদ সম্মেলন থেকে। বৈষম্য বিরোধী সনাতন সমাজ নেতৃবৃন্দ বলেন, পূজা উদযাপন পরিষদের ব্যানার ব্যবহার করে সভাপতি দীপঙ্কর দাস রতন, সাধারণ সম্পাদক তপন ঘোষ, সহ সভাপতি জয়ন্ত বিশ্বাস, যগ্ম সম্পাদক রতন আশ্চার্য, সদর উপজেলা সভাপতি রবীন পাল, সঞ্জয় জোয়াদ্দারসহ অন্যান্যরা সনাতন সম্প্রদায়ের মানুষের কাছ থেকে শালিসের নামে চাঁদাবাজি, মন্দিরের অর্থ আত্মসাৎ, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান দখল করে আসছে। তারা সমাজের শান্তির পরিবর্তে অশান্তি ছড়িয়ে দিয়ে অর্থনৈতিকভাবে ফুলে ফেঁপে উঠেছে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বৈষম্য বিরোধী সনাতন সমাজের আহবায়ক মৃনাল কান্তি দে। উপস্থিত ছিলেন সনাতন সমাজের নেতা সনাৎ সাহা, বীর মুক্তিযোদ্ধা অশোক কুমার ঘোষ, বিনয় কুমার মল্লিক, অখিল কুমার চক্রবত্তি, মিলন কুমার নন্দী, হিন্দু বৌদ্ধ খিস্ট্রান কর‌্যাণ ফন্টোর যুগ্ন আহবায়ক বিষ্ণু সাহা, অধ্যাপক গোপীকান্ত সরকার, অ্যাডভোকেট অজিত কুমার দাস,  দিলিপ কুমার রায়, নাগরিক অধিকার আন্দোলনের সমন্বয়ক শেখ মাসুদুজ্জামান, অ্যাডভোকেট তহমিদ আকাশ প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলন থেকে দীপংকর দাসের কবলে থাকা সকল কমিটি বাতিল করে নুতুন কমিটি গঠন ও পূজা উদযাপন পরিষদের স্মারকলিপি প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়।