যশোর রেজিস্ট্রি অফিস চত্বরে মোটরসাইকেল পার্কিংয়ের নামে চাঁদাবাজি চলছেই

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোর জেলা রেজিস্ট্রার কার্যালয় চত্বর দখল করে আওয়ামী লীগ আমলে গড়ে ওঠা মোটরসাইকেল স্ট্যান্ডের নামে চাঁদাবাজি চলছেই। বছরের পর বছর ধরে চলা সিন্ডিকেটের চাঁদাবাজি সম্পর্কে কিছুই জানেন না জেলা রেজিস্ট্রার। তিনি খোঁজ নেবেন।

সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন একই রাজনীতির অনুসারী শহরের পুরাতন কসবার কতিপয় যুবক জেলা রেজিস্ট্রার কার্যালয় চত্বর দখলে নিয়ে অবৈধ মোটরসাইকেল স্ট্যান্ড তৈরি করে চাঁদাবাজি শুরু করেন। প্রায় ৩ বছর আগে তাদেরকে হটিয়ে জেলা রেজিস্ট্রার কার্যালয় ভবন চত্বর দখলে নিয়ে মোটরসাইকেল স্ট্যান্ড তৈরি করেন পুরাতন কসবা গোলামপট্টির গোলাম সরোয়ারের ছেলে মামুন আক্তার সোহাগ ও কাজীপাড়ার সাবেক সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদের বাড়ির পেছনের হায়দার আলীর ছেলে হায়াতুর রাজীব রনি। এরা জেলা যুবলীগের প্রচার সম্পাদক ও পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর চিহ্নিত সন্ত্রাসী শেখ জাহিদ হোসেন মিলন ওরফে টাক মিলনের সহযোগী হিসেবে পরিচিত। মূলত টাক মিলনই তাদেরকে অবৈধ মোটরসাইকেল স্ট্যান্ড দখলে নিতে সাহায্য করেন।

সূত্র জানায়, সাপ্তাহিক ছুটির ২ দিন বাদে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ জেলা রেজিস্ট্রিার কার্যালয় ভবনে থাকা সদর সাব রেজিস্ট্রি অফিসে জমি রেজিস্ট্রিসহ প্রয়োজনীয় কাজের জন্য আসেন। অধিকাংশ মানুষ মোটরসাইকেলে করে আসেন। কিন্তু কাউকে জেলা রেজিস্ট্রার কার্যালয় ভবন চত্বরে মোটরসাইকেল রাখতে দেননা সোহাগ-রনি সিন্ডিকেটের লোকজন। ওই সিন্ডিকেট বাঁশের চটা দিয়ে জেলা রেজিস্ট্রার কার্যালয় চত্বর ঘিরে স্ট্যান্ড তৈরি করে প্রতি মোটরসাইকেল রাখার জন্য ২০ টাকা করে নিয়ে থাকে। কেউ এর প্রতিবাদ করলে সোহাগ-রনি সিন্ডিকেটের লোকজন তার উপর মারমুখী আচারণ করে থাকেন। দলিল লেখকরাও তাদের কাছে এক প্রকার জিম্মি হয়ে পড়েছেন।

সূত্র জানায়, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যূত্থানে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতন হয়। অথচ স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতন হলেও সন্ত্রাসী টাক মিলনের সহযোগীরা এখনো পর্যন্ত দাপটের সাথে জেলা রেজিস্ট্রার কার্যালয় ভবন চত্বর দখলে নিয়ে অবৈধ মোটরসাইকেলে স্ট্যান্ডে চাঁদাবাজি চালিয়ে যাচ্ছে। এ নিয়ে অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। কিন্তু রহস্যজনক কারণে তাদেরকে উচ্ছেদে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছেনা।

শনিবার দুপুরে মোবাইল ফোনে জেলা রেজিস্ট্রার আবু তালেবকে অবৈধ মোটরসাইকেল স্ট্যান্ড বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে বিষয়টি তিনি প্রথম শুনছেন বলে জানান। এক পর্যায়ে বলেন, বিষয়টি তিনি দেখবেন।