শংকরপুরে আধিপত্যের দ্বন্দ্বে হামলা ও বোমাবাজি

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বুধবার গভীর রাতে যশোর শহরের শংকরপুরে দুইদল সন্ত্রাসী একে অন্যের ২ সহযোগীকে অপহরণ, হামলা পাল্টা হামলা এবং ব্যাপক বোমাবাজি করেছে। গভীর রাতে বোমার বিকট শব্দে গোটা এলাকা প্রকম্পিত হয়ে ওঠে। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এলাকার শান্তিপ্রিয় মানুষ। তবে খবর পেয়ে বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য রাতভর অভিযান চালালেও সন্ত্রাসীদের কাউকে আটক করতে পারেনি। বর্তমানে এলাকায় চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সূত্র জানায়, শংকরপুরের আতিয়ার রহমান ওরফে আলতুর ছেলে চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও বোমাবাজ অনির নেতৃত্বে একটি গ্রুপের সাথে মেসিয়ার খোকনের ছেলে চিহ্নিত সন্ত্রাসী গোল্ডেন সাব্বির ও হাফিজুর রহমান ওরফে নাপিত হাফিজের ছেলে মুসার নেতৃত্বে আরেকটি গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। এরই জের ধরে দুই দিন আগে অনি গ্রুপের সদস্যরা গোল্ডেন সাব্বির-মুসা গ্রুপের এক সদস্যকে মারধর করে। এ ঘটনায় চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয় দুই গ্রুপের মধ্যে। বুধবার রাতে গোল্ডেন সাব্বির-মুসা গ্রুপের লোকজন অনি গ্রুপের আকাশ নামে এক কিশোর সন্ত্রাসীকে ধরে নিয়ে যায়। বিষয়টি অনি গ্রুপের লোকজন জানতে পেরে তারা গোল্ডেন সাব্বিরের ছোটভাই গুড্ডুকে ধরে নিয়ে যায়। এ নিয়ে দুইপক্ষ ধরে নিয়ে যাওয়া তাদের সহযোগী জখম হওয়ার আশঙ্কায় শর্তের ভিত্তিতে আকাশ ও গুড্ডুকে ছেড়ে দেয়। কিন্তু এরই মধ্যে রাত সাড়ে ১১টার পর অনি গ্রুপের সন্ত্রাসীরা শংকরপুর বেহারাপাড়ায় প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসী মুসার পিতা হাফিজুর রহমানের বাড়ির সামনে মুহুর্মুহু বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। অন্তত ৭/৮টি বোমার বিস্ফোরণ ঘটনো হয় বলে স্থানীয়ারা জানিয়েছেন। বোমার বিকট শব্দে গোটা এলাকা প্রকম্পিত হয়ে ওঠে। শুধু বোমার বিস্ফোরণ নয়, সন্ত্রাসী অনি গ্রুপের লোকজন প্রতিপক্ষ মুসার পিতা হাফিজুর রহমানকে মারধর এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে টিনের গেট কেটে ক্ষতিগ্রস্ত করে। পরে তারা চলে গেলে গোল্ডেন সাব্বির-মুসা গ্রুপের সন্ত্রাসীরা একই এলাকার জনৈক সিরাজুল ইসলামের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। অনির সহযোগী সন্দেহে তার বাড়ি ভাঙচুর করা হয়।
এদিকে খবর পেয়ে কোতয়ালি থানা ও ডিবির বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য সন্ত্রাসীদের ধরতে শংকরপুরে রাতভর দফায় দফায় অভিযান চালায় বলে জানা গেছে। তবে পুলিশ সন্ত্রাসীদের কাউকে আটক করতে পারেনি।
কোতয়ালি থানা পুলিশের ইনসপেক্টর (তদন্ত) কাজী বাবুল হোসেন জানান, সন্ত্রাসীদের ধরতে দুই জন অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে তারা রাত ৩টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়েছেন। কিন্তু সন্ত্রাসীদের আটক করা যায়নি। তবে তাদের ধরতে তারা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।