ডিজিটাল নিরাপত্তার আইনের মামলাগুলো দ্রুত প্রত্যাহার হওয়া উচিৎ: কামাল আহমেদ

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন প্রধান কামাল আহমেদ বলেছেন, সাংবাদিকদের হয়রানি-নির্যাতন গত ১৫ বছরে অনেক রেকর্ড আছে। যে প্রতিষ্ঠানকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিলো অন্যায়ভাবে। গণমাধ্যমের সেই প্রতিষ্ঠানকে এখনো কেনো ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়নি। প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে যারা চাকরিচ্যুত হয়েছিলেন, দীর্ঘ বেকাররত্ব শিকার হয়েছেন। নিশ্চয়ই তারা ক্ষতিপুরণের দাবিদার। আবার একইভাবে ডিজিটাল নিরাপত্তার আইনে যারা অন্যয়ভাবে জেল খেটেছেন তাদের মামলাগুলো প্রত্যাহার হওয়ার কথা, এখনো প্রত্যাহার হয়নি। এটা দ্রুত প্রত্যাহার হওয়া উচিত। এসব বিষয় এখন দ্রুত সুরাহা হওয়া উচিৎ।

তিনি বলেন, সরকারের তরফে বলা হয়েছিলো মতপ্রকাশের কথা বলার জন্য কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা হয়ে থাকে তা প্রত্যাহার করা হবে। কিন্তু সেটা হয়নি। আমরা চাইবো এসব মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি হোক, প্রত্যাহার হোক। আমরা আশা করি সরকার দ্রুত এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে।

মঙ্গলবার সকাল ১১টায় খুলনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

কামাল আহমেদ আরো বলেন, পতিত সরকারের আমলে ব্যক্তি ও ব্যবসায়িক স্বার্থে, সংবাদ মাধ্যমকে ব্যবহারের প্রবনতা ছিলো প্রবল। আবার এই প্রবনতার মধ্যে নিজেদের অবস্থান তৈরির করার জন্য একাধিক গণমাধ্যম চালু করেছে অনেক শিল্পগোষ্ঠী। একই হাউজের মধ্যে দুটি টেলিভিশন, এক ছাদের নিচে টেলিভিশন, রেডিও, অনলাইন, পত্রিকা সবই আছে। এটি কোন সুষ্ঠু প্রতিযোগিতা হতে পারে না। আর সুষ্ঠুু প্রতিযোগিতা না থাকলে এই শিল্পের বিকাশ স্বাভাবিকভাবে হবে না। সংস্কারের ক্ষেত্রে এই বিষয়গুলো বিবেচনায় আনা হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সদস্য আখতার হোসেন খান, বেগম কামরুন্নেসা হাসান, টিটু দত্ত গুপ্ত, আব্দুল্লাহ আল মামুন।

মতবিনিময় সভায় খুলনা বিভাগের প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় সাংবাদিকরা গণমাধ্যম সংস্কার বিষয়ে বিভিন্ন মত প্রকাশ করেন।