ঝিকরগাছায় কথিত ছাত্র প্রতিনিধির বিরুদ্ধে জব্দ ট্রাক ছাড়াতে টাকা নেওয়ার অভিযোগ

0

ঝিকরগাছা (যশোর) সংবাদদাতা॥ ঝিকরগাছায় জব্দ ৬টি ট্রাক মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়ার ঘটনায় গোপনে সাবিক আহম্মেদ জীবন নামের কথিত এক ছাত্র প্রতিনিধির বিরুদ্ধে ৬০ হাজার টাকার ব্যাংক চেক নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে ৭ জানুয়ারি রাতে ঝিকরগাছা উপজেলা পরিষদে।
গত ৬ জানুয়ারি গভীর রাতে ঝিকরগাছা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ভুপালী সরকার কম্বল বিতরণ করে ফেরার পথে বাঁকড়া-ঝিকরগাছা সড়কের বেজিয়াতলা-মোহিনীকাটি এলাকা থেকে অবৈধভাবে মাটি-বালি বহনের অভিযোগে ৬টি ট্রাক জব্দ করেন।
ঝিকরগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ বাবলুর রহমান খানের সহায়তায় ট্রাকগুলো উপজেলা পরিষদ চত্বরে রাখা হয়। তখন ট্রাকগুলো ছেড়ে দেওয়ার বিপক্ষে অবস্থান নেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি দাবি করা কয়েক ব্যক্তি। তারা মামলার বাদী হতে চান। এদিকে ৭ জানুয়ারি ট্রাকগুলোর চালকদের কাছ থেকে অপরাধমূলক কাজ করবেন না বলে মুচলেকা নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার তা ছেড়ে দেন। এর সুযোগে ঝিকরগাছা উপজেলার কথিত ছাত্র প্রতিনিধি সাকিব আহম্মেদ জীবন উপজেলা ইটভাটা মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবীরের সাথে গোপনে কথা বলে ৬০ হাজার টাকার চেক নেন। ৮ জানুয়ারি বেসিক ব্যাংক ঝিকরগাছা শাখা থেকে সাকিব আহম্মেদ জীবনের এনআইডি কার্ড নং-৬৪৫৫২২১৫৫৩ চেকের সাথে জমা দিয়ে উত্তোলন করা হয়। চেক নং-০৫৫৪১১০৯৯। একটি অডিও রেকর্ডেও ওই টাকা উত্তোলনের কথা স্বীকার করেছেন অভিযুক্ত সাকিব আহম্মেদ জীবন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র প্রতিনিধি আসলাম উদ্দিন রবিন সাংবাদিকদের বলেন, কথিত ওই ছাত্র তাদের সাথে প্রতারণা করেছেন। দ্রুত সময়ের মধ্যে জীবনের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান আসলাম উদ্দিন রবিন।
এ ব্যাপারে ঝিকরগাছা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ভুপালী সরকার বলেন, তিনি কারোর সুপারিশ গ্রহণ করেননি। ডিসি স্যারের পরামর্শে ড্রাইভারদের কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে জব্দ ৬টি ট্রাক ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
ঝিকরগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ বাবলুর রহমান খান বলেন, ইউএনও স্যারের নির্দেশে ট্রাকগুলো জব্দ করে উপজেলা পরিষদ চত্বরে রাখা হয়েছিল। বাদি পাওয়া না যাওয়ায় মামলা নিতে পারিনি। পরে ইউএনও স্যার মুচলেকা নিয়ে ট্রাকগুলো ছেড়ে দিয়েছেন।
ঝিকরগাছা প্রেস ক্লাবের সভাপতি রফিকুল ইসলাম বলেন, ট্রাক না ছাড়তে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র প্রতিনিধিরা ইটভাটা মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবীরের বিপক্ষে রাতে কঠোর অবস্থানে ছিল। অথচ পরদিন তারাই কবির এন্টারপ্রাইজের দেওয়া ৬০ হাজার টাকার চেক নিয়েছেন। উপজেলা ইটভাটা মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবীর বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে ওই কথিত ছাত্র প্রতিনিধিকে টাকা দান করেছেন বলে জানান।