৮৯৫ কোটি টাকা বরাদ্দ থাকলেও যে কারণে সংস্কার হচ্ছে না মহাসড়ক

0

বিএম আসাদ ॥ যশোরের মহাসড়ক সংস্কারে বরাদ্দ আছে ৮৯৫ কোটি টাকা। কিন্তু টেন্ডার জটিলতায় থামকে আছে কাজ। পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে কার্যাদেশ পাওয়া দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বর্তমানে কালো তালিকাভুক্ত হওয়ায় জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। তাদের কার্যাদেশ বাতিল করে নতুন টেন্ডার না হওয়া পর্যন্ত জটিলতার অবসান হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী।

সড়কটি সংস্কারের দাবিতে যশোরের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন গত মঙ্গলবার পালবাড়ী মোড়ে ও বৃহস্পতিবার সড়ক ও জনপথ বিভাগের দফতরের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেছে। এরপর শুক্রবার পালবাড়ী মোড়ের রাস্তার ভাঙা অংশ ইট-বালি দিয়ে বন্ধ করতে দেখা যায়। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান আব্দুল মোমেন লিমিটেড এ কাজটি করছিল।
প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, যশোর পালবাড়ি হতে খুলনা মহাসড়ক ৪ বছর আগে সংস্কার করা হয়। চার বছর পার হতে না হতেই এ মহাসড়ক মানুষ চলাচলের একেবারে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সড়কে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে ও মাঝে মাঝে উচু হয়ে গেছে। এতে করে যততত্র দুর্ঘটনা ঘটছে। একে পর প্রাণহাণি হচ্ছে।
২০২৪-২৫ অর্থ বছরে এ সড়ক সংস্কারের উদ্যোগ নেয় সড়ক ও জনপথ। বরাদ্দ হয় ৮শ ৯৫ কোটি টাকা। এ সংস্কার কাজের কার্যাদেশ প্রদান করা হয়েছে। পতিত সরকারের আমলে আব্দুল মোমেন লিমিটেড ও টিআরজেসি নামে দু’টি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কার্যাদেশ পায়। কাজ শুরুর আগেই আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। এরপর ওই সরকারের দোসর হিসেবে চিহ্নিত হয় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান আব্দুল মোমেন লিমিটেড ও টিআরজেসি। ফলে তারা কাজ করার সুযোগ পাচ্ছে না। ফলে এখন তাদের কার্যাদেশ বাতিল করে নতুন টেন্ডার ছাড়া কাজ শুরু করতে পারছে না সওজ।
সওজ যশোরের নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম কিবরিয়া দৈনিক লোকসমাজকে বলেন, মহাসড়ক সংস্কারের জন্য কার্যাদেশ পাওয়া আব্দুল মোমেন লিমিটেড ও টিআরজেসি নামে দুটি ঠিকাদারী কালো তালিকাভুক্ত হয়েছে। ফলে তারা কাজ করতে পারছে না। আইনগত জটিলতার কারণে নতুন টেন্ডার আহ্বান করে নতুন ঠিকাদারও নিয়োগ করা যাচ্ছে না। ফলে মহাসড়ক সংস্কার অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।