আদালতের নির্দেশ অমান্য করায় ৫ দিনের কারাদণ্ড সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের

0

মীর মঈন হোসেন মুসা ॥ আদালতের আদেশে যৌতুক নিরোধ মামলার তদন্তের দায়িত্ব পেয়েও কোন প্রতিবেদন দাখিল না করায় সাজা পেয়েছেন যশোর সদর উপজেলার লেবুতলা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা আলীমুজ্জামান মিলন। আদালত তাকে ৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ডাদেশ দিয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার যশোর সদর আমলী আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. গোলাম কিবরিয়া এই রায় দেন। একই সাথে সাজাপ্রাপ্ত আলীমুজ্জামান মিলনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা ইস্যুর আদেশ দেওয়া হয়েছে।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী সরোয়ার হোসেন জানান, ২০১৯ সালের ২৮ আগস্ট সদর উপজেলার দলেননগর গ্রামের নিজাম বিশ্বাসের মেয়ে মোছা. বৃষ্টি খাতুন তার স্বামী সবুজ হোসেনসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে ৫ লাখ টাকা যৌতুক দাবির অভিযোগ এনে যৌতুক নিরোধ আইনে আদালতে মামলা করেন। মোছা. বৃষ্টি খাতুনের স্বামী সবুজ হোসেন বাঘারপাড়া উপজেলার তৈলকুপ গ্রামের অমেদ আলীর ছেলে। এ সময় বিচারক অভিযোগটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য লেবুতলা ইউনিয়ন পরিষদের তৎকালীন চেয়ারম্যান আলীমুজ্জামান মিলনকে আদেশ দেন। কিন্তু নির্ধারিত তারিখের মধ্যে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেননি আলীমুজ্জামান মিলল। এরপর ১৪টি কার্য তারিখ পার হওয়ার পরও প্রতিবেদন দাখিল না করায় তাকে ২০২৪ সালের ২ জুলাইয়ে আদালত থেকে এ বিষয়ে কৈফিয়ত প্রদানের জন্য আদেশ দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি ২ জুলাইও আদালতে হাজির হননি এবং কোনো অবহিতকরণ প্রতিবেদনও দাখিল করেননি। এর প্রেক্ষিতে আদালত তাকে ১৯ ডিসেম্বর এ বিষয়ে লিখিত ব্যাখ্যা প্রদানের আদেশ দেন। এরপরও ১৯ ডিসেম্বর তদন্ত কর্মকর্তা আলীমুজ্জামান মিলন আদালতে কোনো প্রতিবেদন দাখিল করেননি, কোনো পদক্ষেপও নেননি। আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের সর্বশেষ ধার্য্য তারিখ ছিলো গত ৮ জানুয়ারি। এদিনও তিনি আদালতে কোনো প্রতিবেদন দাখিল করেননি। ফলে আদালতের আদেশ অমান্য করায় বিচারক তদন্ত কর্মকর্তাকে ৫ দিনের কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন।
আদালতের আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে, তদন্ত কর্মকর্তা লেবুতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে বারবার সুযোগ দেওয়া সত্বেও তিনি সময় প্রার্থনা অথবা প্রতিবেদন দাখিল না করায় ফৌজদারী কার্যবিধির ৪৮৫ ধারার বিধান অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। এ কারণে তাকে ৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হলো।