নড়াইলে মন্দিরের জমি দখলের চেষ্টার প্রতিবাদে সমাবেশ ও মানববন্ধন

0

নড়াইল সংবাদদাতা ॥ নড়াইলে বাবু রাম রায় নামে জনৈক ব্যক্তির দাবিকৃত টেংরাখালী হাজরাতলা মন্দিরের জমি দখলের চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর প্রতিবাদে রোববার এলাকাবাসী মন্দির চত্বরে সমাবেশ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন।
রোববার টেংরাখালী হাজরাতলা মন্দির কমিটির সভাপতি তপন কুমার বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন, হিন্দু- বৌদ্ধ-খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের নড়াইল জেলা কমিটির আহ্বায়ক কল্যাণ মুখার্জি। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন, কলেজশিক্ষক প্রশান্ত কুমার, সিঙ্গাশোলপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি কবির হোসেন মোল্লা, বিছালী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি কাজী হাসনাত, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলীম,বিএনপি নেতা ওমর ফারুক।
বক্তারা বলেন, আশা করছি টেংরাখালি হাজরাতলা মন্দিরের জায়গা দখলের অপচেষ্টা দ্রুত সমাধান হবে। আমরা সব ধর্মের লোক এবং রাজনৈতিক নেতারা কোনো জমি দখলের চেষ্টা মেনে নেবো না।
মন্দির কমিটির সভাপতি তপন কুমার বিশ্বাস জানান, সিঙ্গাশোলপুর ইউনিয়নের বড়গাতী-বড়কুলা মৌজার খাস খতিয়ানভুক্ত ৮৬৮ দাগে মোট জমির পরিমাণ ৪ দশমিক ২৪ একর। তৎকালীন জেলা প্রশাসক ভূমিহীন গোলক চন্দ্র সিকদারকে ১ দশমিক ১৬ একর জমি বন্দোবস্ত দেন। বাকি জমি মন্দির কমিটি ভোগ দখল করে আসছে। আমাদের অজান্তে এলাকার বাবু রাম রায় নামে জনৈক ব্যক্তি জমিদারদের কাছ থেকে দাখিলা মূলে জমি খরিদ করেন এই মর্মে দাবি করে বর্তমান ক্রেতারা দখল নিতে যান। তখন এলাকার মানুষ বাধা দেন। পরে বিমল কৃঞ্চ মল্লিক বাদী হয়ে সরকার পক্ষে মামলা করেন। মামলায় প্রয়াত বাবু রাম রায়ের জমি খরিদ দাবি টেকেনি। বাবু রাম রায়ের জীবদ্দশায় তার কাকাতো ভাই শরৎ চন্দ্র রায় পাশের ভদ্রবিলা ইউনিয়নের বাগডাঙ্গা গ্রামের ফসিয়ার শেখ ও হালিম শেখকে ওই জমি লিখে দেন। তারা মামলায় হেরে গেলে উচ্চ আদালতে (হাইকোর্ট) আপিল করেন। আদালত স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।