গুলি করে হত্যার চেষ্টা : যশোরে পুলিশের নামে করা মামলা থানায় রেকর্ড

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোর সদর উপজেলার আবাদ কচুয়া গ্রামের মজনু নামে এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা চেষ্টার অভিযোগে যশোর আদালতে দায়ের করা মামলাটি কোতয়ালি থানায় নিয়মিত মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়েছে। আদালতের আদেশে গত বুধবার থানায় মামলাটি রেকর্ড করা হয়। ৫ লাখ টাকা চাঁদার দাবিতে মজনুকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গুলি করে হত্যার চেষ্টার অভিযোগে ৪ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গত ২৩ ডিসেম্বর আদালতে মামলা করেছিলেন তার মা নুরজাহান বেগম খুকি।
আসামিরা হলেন, এসআই জামান, এসআই সোহেব, এসআই শেখ আজগার আলী ও এসআই আমির আব্বাস। মামলায় দাবি করা হয়েছে আসামিরা সকলেই ঘটনার সময় কোতয়ালি থানায় কর্মরত ছিলেন।
ওই মামলার এজাহারভুক্ত আসামিদের মধ্যে আমির আব্বাস ( ইনসপেক্টর পদে পদোন্নতি পেয়ে বর্তমানে শার্শা থানার ওসি) জানান, তিনি কোতয়ালি থানায় নয়, ডিবি কার্যালয়ে এসআই পদে কর্মরত ছিলেন। ঘটনার সময় তিনি নবায়ন কোর্সে অংশ নিয়ে খুলনায় পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারে ছিলেন। ২০১৪ সালের ২০ এপ্রিল থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত ৮ সপ্তাহ সেখানে অবস্থান করেন। এ কারণে তার যশোরে অবস্থানের কোনো প্রশ্নই ছিলো না। তার বিরুদ্ধে অসৎ উদ্দেশ্যে মামলাটি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ওই মামলায় নুরজাহান বেগম খুকি অভিযোগ করেছেন, ২০১৪ সালের ২৯ এপ্রিল রাতে আবাদ কচুয়া গ্রাম থেকে মজনুকে আটক করেন আসামিরা। এ সময় তারা তার পরিবারের কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। পরিবারের সদস্যরা চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকার করায় তারা মজনুকে গুলি করে হত্যা করার হুমকি দেন। এরপর তারা মজনুর হাত পেছনে দিয়ে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে তাকে নিয়ে চলে যান। পরে তারা যশোর-খুলনা মহাসড়কের এসকে ফিলিং স্টেশন সংলগ্ন টাউন ব্রিক্সের পাশে মজনুকে নিয়ে যান এবং মাটিতে ফেলে দিয়ে অস্ত্র ঠেকিয়ে হাঁটুর নিচে গুলি করেন। পরবর্তীতে তারা গুরুতর আহত মজনুকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু মজনুর অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। এরপর মজনুর শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলে তারা তাকে একটি মিথ্যা মামলায় আটক দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠান।