বাঘারপাড়া ডিগ্রি কলেজে কমিটির পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত

0

বাঘারপাড়া (যশোর) সংবাদদাতা ॥ বাঘারপাড়া ডিগ্রী কলেজের এডহক কমিটির পরিচিতি সভা গতকাল বুধবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। দুপুর একটায় অধ্যক্ষের কার্যালয়ে এ সভা হয়।
গত মঙ্গলবার ছিলো নতুন সভাপতি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও সহকারী এটর্নি জেনারেল অ্যাড. নুরে আলম সিদ্দিকীর সাথে কমিটির পরিচিতি সভা। কলেজ অধ্যক্ষ ও অন্য সদস্যের অনুপস্থিতিতে বিশৃঙ্খল পরিবেশ তৈরি হওয়ায় শেষ পর্যন্ত সে সভা হয়নি। গতকাল ৫ সদস্যের কমিটির ৩ সদস্যের উপস্থিতি ও অপর ২ সদস্যের সম্মতিতে সভা অনুষ্ঠিত হয়।
পাঁচ সদস্যের এডহক কমিটির অন্য সদস্যরা হচ্ছেন কলেজ অধ্যক্ষ আব্দুল মতিন, শিক্ষক প্রতিনিধি আলমগীর সিদ্দিকী, বাঘারপাড়া পৌর বিএনপির সভাপতি আব্দুল হাই মনা ও বিএনপি নেতা মাসুদ আলম টিপু। আব্দুল হাই মনা অসুস্থতার কারণে সভায় হাজির হতে পারেননি। মাসুদ আলম টিপু দূরে থাকায় তাৎক্ষণিকভাবে আসতে পারেননি। তবে উভয়েই সভা সম্পন্ন করার জন্য সম্মতি দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় গত ২৪ ডিসেম্বর বাঘারপাড়া ডিগ্রী কলেজের এডহক কমিটির সভাপতি অ্যাড. নুরে আলম সিদ্দিকীকে মনোনয়ন দেয়।
কলেজ অধ্যক্ষ আব্দুল মতিন জানিয়েছেন, ‘কলেজের নতুন এডহক কমিটির সভাপতি নুরে আলম সিদ্দিকীর নির্দেশে ৩১ ডিসেম্বর নিয়ম অনুযায়ি সভা আহবান করা হয়। গত ২৯ ডিসেম্বর সভার চিঠিও করা হয়। আমি মঙ্গলবার সভা করার জন্য নির্ধারিত সময়ে কলেজে আসি। কলেজ অভ্যন্তরে পৌছানোর আগেই পরিবেশটা আমার কাছে ভালো মনে হয়নি। যে কারণে পাশের এক বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলাম। পরে বুঝতে পেরেছি সভা না করাটা ভুল ছিল। সে কারণে আজ (বুধবার) সভা করেছি।’
বাঘারপাড়া ডিগ্রী কলেজের এডহক কমিটির সভাপতি নুরে আলম সিদ্দিকী বলেন, কলেজ অধ্যক্ষ তার ভুল স্বীকার করে সভা করেছেন। অনুপস্থিত দুই সদস্যের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করে তাদের সম্মতি নেওয়া হয়েছে। সভায় বিদ্যোৎসাহী সদস্য ও দাতা সদস্য নির্ধারণ, ব্যাংক অপারেটর পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এছাড়া পূর্ববর্তী সভার বাকি সব বিষয় আগামী সভায় আলোচনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

 

 

 

 

মোংলা নদীর ওপর চলতি বছর
সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা /২
মোংলা (বাগেরহাট) সংবাদদাতা ॥ মোংলা নদীর ওপর সেতু নির্মাণের লক্ষ্যে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার উপজেলার দিগরাজে সড়ক ও জনপথ বাংলাতে হাইডোলজি ও মরফোলজি স্ট্যাডি রিপোর্ট ও সেতুর অবস্থান চূড়ান্ত করতে এই সভার আয়োজন করা হয়।
চলতি বছরেই মোংলা নদীর ওপর সেতু নির্মাণে কাজ শুরু করবে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। দ্রুত সমীক্ষা চালিয়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন করে এই জনপদের দীর্ঘদিনের ভোগান্তি কমিয়েও আনতে চায় বিভাগটি। এ লক্ষ্যে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের সাথে মতবিনিময় করেছে সড়ক ও জনপদ বিভাগ।
সড়ক ও জনপথের খুলনা সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে স্থানীয় প্রশাসন, মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ, ইপিজেড ও বিভিন্ন পর্যায়ের জনপ্রতিনিধিরা সুবিধাজনক স্থানে মোংলা নদীর ওপর সেতু নির্মাণের ওপর মত প্রকাশ করেন। মোংলা নদীর মাঝে ২০০ কিলোমিটার বাকি রেখে দুই পাড়ে দুটি পিলারের ওপর সেতুটি নির্মাণের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয় সভায়। এরপর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চলতি বছরেই সমীক্ষা চালিয়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে বলেও জানায় সড়ক ও জনপদ বিভাগ। সেতুটি নির্মাণ হলে এই অঞ্চলের দীর্ঘদিনের জনদুর্ভোগ দূর হবে বলে মনে করেন স্থানীয়রা।
মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, সড়ক ও জনপথের বাগেরহাটের নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুল ইসলাম প্রামাণিক, সেতু বিভাগ- ঢাকার নির্বাহী প্রকৌশলী শরিফুল আলম ও সেতু নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণ-৪ ঢাকার নির্বাহী প্রকৌশলী স্বপ্না বেগমসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।

 

পাইকগাছায় বিদ্যুৎ বিলের রশিদে
এখনও শেখ হাসিনার গুণকীর্তন/২
পাইকগাছা (খুলনা)সংবাদদাতা॥ ‘শেখ হাসিনার উদ্যোগ, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ’ শ্লোগান সম্বলিত রশিদে এখনও বিদ্যুৎ বিল বানিয়ে গ্রাহকদের কাছ থেকে বিল আদায় করা হচ্ছে। ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের পর ৫ মাস গত হলেও বিদ্যুৎ বিলের রশিদে পরিবর্তন আসেনি। বরং পতিত স্বৈরাচারের প্রশংসাসূচক স্লোগান বিদ্যুতের রশিদে শোভা পাচ্ছে। যা নিয়ে এলাকায় প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
চায়ের দোকান্দার শেখ সুজন বলেন, হাসিনা একজন স্বৈরাচারী সরকার ছিলেন। তার সময় কেউ কোন কথাই বলতে পারতো না। এখন মানুষ স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারছে। হাসিনা সরকারের পতন হয়েছে। তাহলে তার নামে বিদ্যুৎ বিলে গুণকীর্তন থাকে কি করে?
উপজেলার মটবাটী গ্রামের বিদ্যুৎ গ্রাহক আজিজুর রহমান মোল্লা বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাম কেন এখন বিলের রশিদে থাকবে? এটা কি এই সরকার চোখে দেখেনা? এরপর এই কাগজে বিল করলে আমরা বিল দেবনা।
পাইকগাছা পল্লী বিদ্যুত সমিতির ডিজিএম সিদ্দিকুর রহমান তালুকদার বলেন, এখন নতুন কোন বিল পেপার পাইনি। সেটা পেলে এ রশিদে আর কোন বিল তৈরি করা লাগবেনা। বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।