যশোর সদর সাব-রেজিস্ট্রার আমিনা বেগমের অবৈধ সম্পদের তদন্তে দুদক

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোর সদর সাব-রেজিস্ট্রার আমিনা বেগমের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের তদন্ত করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঝিনাইদহ। ইতোমধ্যে প্রাথমিক অনুসন্ধানের কাজ সম্পন্ন করেছে সংস্থাটি। এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন দুদকের সদর দফতরে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে। সেখান থেকে পরবর্তী নির্দেশনা পাওয়া গেলে তাকে নোটিশ করে সম্পদ বিবরণীর তথ্য চাওয়া হতে পারে। এরআগে একবার বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তার অবৈধ সম্পদের বিষয়ে প্রাথমিক অনুসন্ধান করে দুদক সদর দফতরে প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছিলো। কিন্তু প্রভাব খাটিয়ে আমিনা বেগম তার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনে দুদকের তদন্ত কার্যক্রম বন্ধ করতে সক্ষম হয়েছিলেন বলে দুদক সূত্র জানিয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুদকের একটি সূত্র জানায়, সাব-রেজিস্ট্রার আমিনা বেগমের বাড়ি মাগুরায়। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে তিনি যশোর সদরে সাব-রেজিস্ট্রার হিসেবে যোগদান করেন। এরআগে তিনি ঝিনাইদহ সদরের সাব-রেজিস্ট্রার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। সেখানে কর্মরত থাকাকালীন তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ ওঠায় প্রাথমিক অনুসন্ধান করে দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঝিনাইদহ। প্রাথমিক অনুসন্ধানে তার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পর্দ অর্জনের তথ্য পাওয়া গিয়েছিলো। এ কারণে প্রাথমিক অনুসন্ধানের প্রতিবেদন ঢাকাস্থ দুদক সদর দফতরে পাঠানো হয়েছিলো। বিষয়টি আমিনা বেগম জানতে পেরে প্রভাব খাটিয়ে তার বিরুদ্ধে দুদকের তদন্ত কার্যক্রম বন্ধ করিয়ে দেন। যে কারণে দুদক সদর দফতর থেকে ঝিনাইদহ কার্যালয়কে আমিনা বেগমের কাছ থেকে তার সম্পদ বিবরণীর তথ্য চাওয়ার কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। কিন্তু গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হওয়ায় প্রভাবমুক্ত থাকায় ফের আমিনা বেগমের অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধানে নামে দুদক ঝিনাইদহ। শুধু তাই নয়, এবার যাবতীয় তথ্য প্রমাণ সংগ্রহ করে প্রাথামিক অনুসন্ধান শেষে ফের সদর দফতরে প্রতিবেদন পাঠিয়েছে দুদক ঝিনাইদহ। সেখান থেকে পরবর্তী নির্দেশনা পাওয়া গেলে তার কাছে সম্পদ বিবরণীর তথ্য চেয়ে নোটিশ পাঠাবে সংস্থাটি।
এদিকে সাব-রেজিস্ট্রার আমিনা বেগমের বর্তমান কর্মস্থলের কার্যক্রম সম্পর্কেও খোঁজখবর নিতে শুরু করেছে দুদক যশোর। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের সুনির্দিষ্ট তথ্য পেলে প্রাথমিক অনুসন্ধানের কাজ শুরু করা হতে পারে বলে দুদক যশোরের একটি সূত্র জানিয়েছে।
দলিল লেখকদের একটি সূত্র জানিয়েছে, আমিনা বেগম প্রতিদিন প্রাইভেটকারে মাগুরা থেকে কর্মস্থল যশোরে আসেন। আবার অফিস শেষে প্রাইভেটকারে করে মাগুরার বাড়িতে ফিরে যান।