ঝিকরগাছায় জামায়াত নেতার নামে মিথ্যে মামলার অভিযোগ

0

 

ঝিকরগাছা (যশোর)সংবাদদাতা॥ যশোরের ঝিকরগাছায় চাকরি ছাড়ার ৭ বছর পর গ্রিন ভিউ নামের এক এনজিওর সাবেক সভাপতি জামায়াত নেতা বিল্লাল হোসেনের বিরুদ্ধে সাড়ে ২৭ লাখ টাকার একটি মামলা করেছেন আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল মান্নান। মামলার বাদী উপজেলার মাটশিয়া গ্রামের মৃত লিয়াকত আলীর ছেলে। এ মামলাকে মিথ্যে দাবি করে ন্যায় বিচার চাইছেন ভুক্তভোগী বাঁকড়া গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছেলে জামায়াত নেতা বিল্লাল হোসেন।
অভিযোগ রয়েছে, বাঁকড়া বাজারে অবস্থিত এনজিও গ্রিন ভিউয়ের পরিচালনা পরিষদের সভাপতি হিসেবে কর্মরত থাকা অবস্থায় ২০১৭ সালে নিজেই পদত্যাগ করেন জামায়াত নেতা বিল্লাল হোসেন। পরে তিনি উদ্যোক্তা হিসেবে গরু মোটাতাজাকরণ খামারসহ চাষাবাদ করে জীবিকা নির্বাহ শুরু করেন। সম্প্রতি তিনি জানতে পারেন এনজিওটি তাকে ছাড়পত্র দিলেও গোপনে তাকে সভাপতি রেখেই কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। ২০২০ সালে প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল মান্নান ও তার লোকদের অত্যাচার-নির্যাতনের শিকার হয়ে গ্রিন ভিউ তার কার্যক্রম স্থগিত করতে বাধ্য হয়। এরপর কর্মীরা দেশ ও দেশের বাইরে পালিয়ে যান। এ সময় ওই এনজিওর বিভিন্ন গ্রামে প্রায় দেড় কোটি টাকার ঋণ দেওয়া ছিল। পবর্তীতে প্রতিষ্ঠানের কর্মী সাইফুল ইসলাম ( কোষাধ্যক্ষ) ও সেলিম রেজা (সাধারণ মাঠকর্মী) ও গ্রাহক আব্দুল মান্নান ভুয়া ম্যানেজার সেজে গ্রাহকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে কিস্তি আদায় করে নিজেদের মধ্যে ভাগ বাটোয়ারা করে নেন। দীর্ঘদিন পর কথিত ম্যনেজার আব্দুল মান্নান সাইফুল ইসলাম ও সেলিম রেজার যোগসাজসে জামায়াত নেতা বিল্লালের বিরুদ্ধে সাড়ে ১৭ লাখ টাকা আত্মসাতের কাল্পনিক অভিযোগ তুলে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। ওই মামলায় সাক্ষী করা হয়েছে কথিত কোষাধ্যক্ষ সাইফুল ইসলাম ও মাঠকর্মী সেলিম রেজাকে।
ভুক্তভোগী বিল্লাল হোসেন বলেন, গ্রিনভিউ এনজিওর মাঠকর্মী সেলিম রেজার মাধ্যমে আব্দুল মান্নান কিছু টাকা তার কাছে রাখেন। সে কারণে সেলিম রেজাকে অনেকবার হেনস্থা করেন আব্দুল মান্নান। তিনি তার গোয়ালের গরু ধরে নিয়ে যান। পরে উপায় না পেয়ে সেলিম প্রবাসে চলে যান। কিন্তু চাকরি ছাড়ার দীর্ঘদিন পর সম্প্রতি আমাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, বাঁকড়া গ্রামের মুসলিমা খাতুন, রাশিদা খাতুন ও পারভীনা খাতুনের কাছ থেকে ১০লাখ টাকা, কানাইরালী গ্রামের কাশেম আলী, জিয়াউল ইসলাম, শাহানারা, ইয়াকুব আলী, আব্দুর রহমান, রোজিনা খাতুন, সোয়েদ আলী, রেহেনা খাতুন, মমতাজ ও রেনু বেগমের থেকে প্রায় ২০ লাখ ও কলাটুপি গ্রামের রতœা খাতুন, আনজুয়ারা, নুরজাহান, মর্জিনা খাতুন, জোহুরা, রেখা খাতুন, আরজিনা খাতুন, হাসিনা খাতুন, আনজুয়ারা, মিনা খাতুন, জয়নব খাতুন, তাসলিমা খাতুন ও নাউস আরা বেগমের কাছ থেকে প্রায় ১৭ লাখ টাকাসহ সাড়ে ৪৭লাখ টাকা কিস্তি হিসেবে আদায় করেছেন আব্দুল মান্নান, সেলিম রেজা ও সাইফুল ইসলাম।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আব্দুল মান্নান বলেন, তিনি ওই এনজিওতে ১০% লভ্যাংশ (সুদে) ১০লাখ ও ১২% লভ্যাংশ (সুদে) ১০লাখ টাকা দিয়েছিলেন। বেশ কিছুদিন লভ্যাংশ নিয়েছেন। পরে পাওনার টাকার জন্যে মামলা করেছেন।