কালীগঞ্জে ধানী জমিতে পুকুর খননের অভিযোগ

0

 

কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ) সংবাদদাতা ॥ কালীগঞ্জের তেঁতুলবাড়িয়া গ্রামের কেশুর কুড়ি বিলের মাঠে ধানী জমিতে পুকুর খননের কাজ চলছে। ওই মাঠে সাদিকপুর গ্রামের হাজী মোস্তফা কামালের ৮ বিঘা ধানী জমিতে কাটা হচ্ছে পুকুর। এভাবে পুকুর খননের ফলে মাঠটিতে কমছে কৃষি জমির পরিমাণ। পুকুর খননের কারণে আশপাশের ধানী জমিও দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয় কৃষকরা।
শনিবার সরেজমিনে উপজেলার এসটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পেছনে সাতগাছিয়া মৌজায় কেশুর কুড়ি বিলের মাঠে গিয়ে দেখা যায়, এক্সকেভেটর মেশিন দিয়ে ধানী জমির মাটি কেটে পুকুর খননের কাজ চলছে। ৬ ডিসেম্বর রাত থেকে মাটি কাটা শুরু করে ৭ ডিসেম্বর সকাল পর্যন্ত ৮ বিঘা জমির ৩ পাড় মাটি দিয়ে ইতোমধ্যে বেঁধে ফেলা হয়েছে।
এ সময় ওই জমির বর্গা চাষি মনিরুল ইসলাম জানান, বোরো কিংবা আমন কোনো আবাদে এখানে ভালো ধান হয় না। যে কারণে জমির পাড় বেঁধে দিচ্ছেন জমির স্বত্বাধিকারী মোস্তফা কামাল। এ সময় ওই জমির স্বত্বাধিকারীর ছোট ভাই মো. মানিক বলেন, আমর বড় ভাই আমাদের এই জমিতে ১০ ফুট ক্যানেল রেখে পাড় বাঁধার কাজ করাচ্ছেন । আমি তো দেখাশোনা করছি। মাটি কেটে পাড় বাঁধছি, যাতে করে জমির মধ্যে পানি প্রবেশ করতে না পারে। পুকুর কাটার তথ্যটি সঠিক নয়। চার পাশের পাড় বেঁধে ভেতরে আমরা ধানের চাষ করব এবং ক্যানেলে মাছ চাষ করব।
কষ্টভাঙ্গা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের নায়েব মোশারফ হোসেন বলেন, পুকুর খননের সংবাদ পেয়ে সরেজমিনে আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে জানতে পারলাম মাটি কিংবা পুকুর কাটার কোনো সরকারি অনুমতিপত্র তাদের নেই। তাই অনুমতি ব্যতীত ধানী জমিতে এভাবে ভেকু মেশিন দিয়ে মাটি কাটতে তাদেরকে নিষেধ করি। তাৎক্ষণিকভাবে আমরা ভেকু বন্ধ করে দিয়ে এসেছি। ব্যাপারটা আমি আমার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে অবগত করবো।