বিজয়ের মাস

0

মাসুদ রানা বাবু ॥ আজ ৪ ডিসেম্বর। ১৯৭১ সালের এই দিনে হানাদার বাহিনী ট্যাংক, সাঁজোয়া যান, কামান নিয়ে হামলা চালায় যশোর শহরে। যশোরের চৌগাছা উপজেলার সলুয়া বাজারে অগ্রবর্তী ঘাঁটি ছিল হানাদার বাহিনী। প্রতিরোধ যুদ্ধের শুরুতেই যশোর সেনানিবাসের তিন দিকেই মিত্রবাহিনী ও মুক্তিবাহিনী শক্ত ঘাঁটি গেড়ে বসে। প্রতিরোধ যুদ্ধের শেষ অভিযান চলে ৩, ৪ ও ৫ ডিসেম্বর। এ তিন দিন যশোর অঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে হানাদার বাহিনীর সঙ্গে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের তুমুল যুদ্ধ হয়। এ সময় মিত্রবাহিনীও সীমান্ত এলাকা থেকে যশোর সেনানিবাসসহ পাকিস্তানি বাহিনীদের বিভিন্ন স্থাপনায় বিমান হামলা ও গোলা নিক্ষেপ করে।
যশোর সেনানিবাস থেকে নিয়ন্ত্রিত হতো ৬টি বৃহত্তর জেলা। মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনীর হামলা রুখতে হানাদাররা যশোর সেনানিবাসের চারদিকে দুর্ভেদ্য প্রতিরক্ষা ব্যুহ গড়ে তোলে। মজুত করে অত্যাধুনিক অস্ত্র ও গোলাবারুদ। মেজর জেনারেল নিয়াজি বলতেন- ‘যশোর সেনানিবাস হচ্ছে প্রাচ্যের লেলিনগ্রাড’। আর এর প্রতিরক্ষা ব্যুহ হচ্ছে ‘ম্যাজিনোলাইন’। সেই সেনানিবাস দখলের শেষ অভিযান শুরু হয় ৪ ডিসেম্বর।
আক্রমনের মুখে প্রতিরোধের পরিবর্তে পিছু হটতে থাকে পাকিস্তানী বাহিনী। বেনাপোল অঞ্চলে দায়িত্বরত লেফটেন্যান্ট কর্নেল শামসকে নওয়াপাড়ার দিকে দ্রুত সরে যাওয়ার নির্দেশ দেন সেনানিবাসের দায়িত্বরত ব্রিগেডিয়ার হায়াত।
মুক্তিবাহিনী ও মিত্র বাহিনীর অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকায় হানাদার বাহিনী সর্বত্র পিছু হটতে থাকে। বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে পৌছে যায় যশোরের রণাঙ্গন।