খুলনায় সম্প্রীতির সমাবেশ : নির্বাচন কবে হবে, সরকারের অন্তরের কথা জনগণ জানতে চায় – হেলাল

0

খুলনা ব্যুরো॥ বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল বলেছেন, পতিত মাফিয়া সরকারের বিরুদ্ধে দেশনায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বে আমরা ১৭বছর রাজপথে আন্দোলন করেছি। বিএনপির চলমান আন্দোলনের সাথে একপর্যায়ে যুক্ত হয় বৈষম্য বিরোধী কোটা আন্দোলনকারী ছাত্ররা। একদিকে বিএনপির আন্দোলন অপরদিকে ছাত্রদের আন্দোলন যখন বন্দুকের নলের জোরে স্বৈরাচার হাসিনা সরকার নিবৃত করার অপচেষ্টা করেছিলেন তখন দেশনায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বে দেশের সর্বস্তরের জনগণের অংশগ্রহনে জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যূত্থানে শেখ হাসিনা পালিয়ে যেতে বাধ্য হন।
বিএনপির হাজার হাজার নেতা-কর্মীর জীবনের বিনিময়ে আমরা দেশে অর্ন্তবর্তীকালিন সরকার পেয়েছি। অর্ন্তবরতীকালীন সরকার আমাদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত সরকার। আমরা চাচ্ছি ড. ইউনুসের নেতৃত্বাধীন সরকার অল্প সময়ের মধ্যে দেশে একটি সুষ্ঠ ভোটে নির্বাচিত সরকার উপহার দিবেন। কিন্তু সরকারের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা মাফিয়া সরকারের দোসর কয়েকজন উপদেষ্টা কথিত সংস্কারের নামে কাল ক্ষেপন করছেন। শুধু তাই নয় সম্প্রতি ড. ইউনুসের দেয়া বক্তব্যেও জাতীয় নির্বাচনের সুস্পষ্ট কোন কিছু ছিলো না। এদেশের জনগন জাতীয় নির্বাচন কবে হবে অন্তর্বরতীকালীন সরকারের অন্তরের কথা জানতে চায়।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) বিকাল সাড়ে ৪টায় দিঘলিয়া উপজেলা বিএনপি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে দেশনায়ক তারেক রহমানের ৩১দফার আলোকে সাম্য ও মানবিক সমাজ বির্নিমানে সেনহাটি শিববাড়ি মাঠে অনুষ্ঠিত সম্প্রীতির সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। দেশের সকল সংকটে জিয়া পরিবার নেতৃত্ব দিয়েছেন উল্লেখ করে কেন্দ্রীয় এই নেতা বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে এই জাতিকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র দিয়েছেন। বিশ্বের মানচিত্রে বাংলাদেশ নামে একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্ম হয়েছে। আমরা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাত থেকে মুক্ত হয়েছি। ৭ নভেম্বর স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য সিপাহি জনতা জিয়াউর রহমানকে জেলখানা থেকে উদ্ধার করে নিয়ে এলে তিনি ভারতীয় আধিপত্যবাদ থেকে বাংলাদেশকে রক্ষা করেন। ’৯০ সালে স্বৈরাচার এরশাদের হাত থেকেও জাতিকে মুক্তি দিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। ২০২৪ সালে পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনার হাত থেকে ছাত্র-জনতা যে আন্দোলন করেছেন সে আন্দোলন সংগ্রামে নেতৃত্ব ও পরামর্শ দিয়ে জাতিকে মুক্ত করেছেন দেশনায়ক তারেক রহমান।
বিগত ১৭ বছরের দিঘলিয়ার মানুষ বাড়িতে থাকতে পারেনি। মামলা হামলা দিয়ে হয়রানি করেছে আওয়ামী লীগ। কারা হামলা করেছে, কারা মামলা দিয়েছে তা আমরা জানি কিন্তু আমরা কোন সংঘাতের রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না। যারা দোষি যারা অবিচার করেছেন তাদের বিচার করবে সরকার। আমরা কখনোই আইন হাতে তুলে নেবো না। আমরা দেখেছি দিঘলিয়ায় এক সময়ে শিল্প কারখানা ছিলো-এ অঞ্চলের মানুষের ঘুম ভাঙ্গতো মিলের হুইসেলের শব্দে। এখন এ অঞ্চল মৃতপুরীতে পরিনত হয়েছে। শুধু দিঘলিয়াই নয় খুলনার অনেক মিল-কল কারখানা বন্ধ হয়েছে ভোট চোর সরকারের দুর্নীীতর কারনে। বিএনপি জনগনের ভোটে নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করতে পারলে আবারো হারানো শিল্পাঞ্চল ফিরিয়ে দেয়া হবে। ড. ইউনুস সরকারের ওপর বিএনপির শতভাগ সর্মথন রয়েছে। ইউনুস সরকারের ব্যর্থতা মানে বিএনপির ব্যর্থতা। ইউনুস সরকারের উচিৎ হবে জনগণের মধ্যে আস্থা ও বিশ্বাস সৃষ্টি করা। ইউনুস সরকারের প্রথম কাজ হলো নির্বাচনের দিকে হাটা কিন্তু ইউনুস সরকারের মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে কিছু সংখ্যাক মতলববাজ উপদেষ্টা। তারা নির্বাচনের দিকে না হেটে কথিত সংস্কারের নামে কালক্ষেপন করছেন। বিএনপির ইউনুস সরকারের সমর্থন করে তবে পাশের দেশে বসে ইউনুস সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে মাফিয়া রানী হাসিনা। বিএনপি নেতা হেলাল অর্ন্তবরতীকালীন সরকারের প্রতি আহবান জানান পাশের দেশ ভারত কেন একজন গনহত্যাকারীকে আশ্রয় দিয়েছেন। আমরা ভারতের জনগনের বিরুদ্ধে কথা বলছি না; কারন তারা আমাদের প্রতিবেশি। আমরা কথা বলছি ভারতে সরকারের বিরুদ্ধে। ১৯৭১ সালে আমরা দেশ স্বাধীন করেছিলাম স্বার্বভৌমিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য। দ্রব্যমুল্যের উব্ধগতির জন্য মাফিয়া সরকারের প্রেত্মাত্বারা দায়ি। ওএমএস’র লাইন ধীরে ধীরে দীর্ঘ হলে ইউনুস সরকার বেকায়দায় পড়বেন। উপদেষ্টাদের কয়েকজন জীবানুর মত গোটা উপদেষ্টাদের প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়। উপজেলা বিএনপি আহবায়ক সাইফুর রহমান মিন্টুর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক আমির এজাজ খান, সাবেক সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পী, আবু হোসেন বাবু, আব্দুর রকিব মল্লিক, অধ্যাপক মনিরুল হক বাবুল।