সাতক্ষীরা শহরে অবৈধ ইজিবাইক ও ব্যাটারিচালিত ভ্যান চলাচলে তীব্র যানজট, চরম ভোগান্তিতে মানুষ

0

সাতক্ষীরা সংবাদদাতা ॥ সাতক্ষীরা শহরে অবাধে অবৈধ ইজিবাইক ও ব্যাটারিচালিত রিকশা-ভ্যানের চলাচলে প্রতিদিন তীব্র যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। বিশেষ করে শহরের ব্যস্ততম নিউমার্কেট ও পাকাপোল মোড়ে পাঁচ মিনিটের রাস্তা অতিক্রম করতে ঘন্টারও বেশি লেগে যাচ্ছে। শহরবাসী এ ভোগান্তি থেকে পরিত্রাণ চায়।
সাতক্ষীরা পৌরসভা সূত্রে জানা যায়, পৌরসভার লাইসেন্সধারী ৬৯৫টি ইজিবাইক রয়েছে। অথচ শহরে ৩ থেকে ৪ হাজার ইজিবাইক চাৈচল করছে। পৌরবাসীর অভিযোগ, অনিয়ন্ত্রিত ব্যাটারিচালিত ভ্যান ও অবৈধ ইজিবাইকের অবাধ চলাচলে প্রতিদিন তীব্র যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। সদর থানার পাশে পাকাপোলের দুই পারের দুটি চার রাস্তার মোড়ে দীর্ঘ যানজটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকতে হয়। এ কারণে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মজীবী মানুষ সঠিক সময় গন্তব্যে পৌঁছাতে পারে না। এতে লক্ষাধিক মানুষের জীবনযাত্রা দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে।
সাতক্ষীরা পৌরসভা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, পৌরসভায় ২০১ কিলোমিটার পাকা সড়ক রয়েছে। শহরের মধ্যে পড়েছে ৩০ কিলোমিটার সড়ক। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে সাতক্ষীরা পৌরসভা ৬৯৫টি ইজিবাইকের লাইসেন্স অনুমোদন করে। এরপরে আর কোনো লাইসেন্সের অনুমোদন দেয়নি পৌরসভা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পৌর এলাকায় সড়কের প্রস্থ অনেক কম, সড়কের পাশে নেই ফুটপাতও। এখন সাতক্ষীরা পৌরসভার মধ্যে প্রতিদিনই ৩ থেকে ৪ হাজার ইজিবাইক ও ব্যাটারিচালিত অবৈধ ভ্যান চলাচল করছে। এখন জনসাধারণের ভোগান্তির মুখ্য কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে অবৈধ ভ্যান ও ইজিবাইক। যে কারণে শহরবাসী সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।
এ বিষয়ে সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মনিরুল ইসলাম মুনীর বলেন, সড়কে মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য ট্রাফিক পুলিশ পরিশ্রম করে যাচ্ছে। এর আগেও শহরের যানজট নিরসনে জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরমধ্যে পৌরসভা থেকে অনুমোদিত ৬৯৫টি ইজিবাইক ছাড়া অন্য কোনো ইজিবাইক চলতে পারবে না বলেও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তিনি বলেন, শহরের যানজট নিরসনে অবৈধ যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণে আনতে দ্রুত কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।