এসিআইয়ের যশোর ডিপোতে দুর্ধর্ষ ডাকাতি, ১৫ লাখ টাকাসহ সিন্দুক নিয়ে গেল ট্রাকে

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ শনিবার রাত আনুমানিক আড়াইটা। যশোরের শেখহাটি বাবলাতলার এসিআই লিমিটেডের ডিপো অফিসের পাহারায় প্রহরী সোহেল রানা ও সজীব বিশ্বাস দেখেন ভবনের দক্ষিণ পাশ থেকে মুখোশ পরিহিত অন্তত ১৫ জন পাঁচিল টপকে ভেতরে ঢুকছে। প্রহরীরা এগিয়ে যেতেই তাদের হাত-পা বেঁধে ফেলে। ভবনের ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরায় উপর রঙ স্প্রে করে। এরপর দরজার তালা কেটে ছয়তলা ভবনের দ্বিতীয় তলার অফিস রুমে ঢুকে পড়ে। সেখানে রক্ষিত কয়েক শ’ মণ ওজনের লোহার সিন্দুক উঠিয়ে বহন করে ভবনের বাইরে নিয়ে আসে। সেখানে রাখা একটি ট্রাকে সিন্দুকটি তুলে চলে যায় ডাকাত দল। যাওয়ার সময় সিসি ক্যামেরার ডিভিআরটি সাথে করে নিয়ে যায়।
দুই প্রহরী এভাবেই ডাকাতির বর্ননা দেন। ডিপো কর্মকর্তাদের কাছ থেকে জানা গেছে সিন্দুকে অন্তত ১৫ লাখ টাকা ছিল।
ডাকাতির খবর পেয়ে রোববার সকালে পুলিশ সুপার জিয়াউদ্দিন আহমেদসহ কোতয়ালি থানার পুলিশ, ডিবি পুলিশ ও পিবিআই কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এছাড়া জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিবি পুলিশ এসিআই লিমিটেডের ডিপো অফিসের দুই জন প্রহরীকে হেফাজতে নিয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, শেখহাটি বাবলাতলা ঢাকা রোডে কাঠ ব্যবসায়ী শেখ আবু তালেবের ৬ তলা ভবনের নিচতলা ও দোতলায় এসিআই লিমিটেডের ডিপো অফিস। ভবনটি উচু প্রাচীর ঘেরা। গত শনিবার দিবাগত রাতে ওই ডিপো অফিসে ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
কয়েকজন কর্মচারী জানান, ডাকাতরা দোতলার প্রত্যেকটি রুমের দরজার তালা কেটে তল্লাশি চালিয়েছে। একটি রুমে ভোল্ট ছিলো। ডাকাতরা সেখান থেকে ভোল্টটি নিয়ে গেছে। তারা আরও জানান, ভোল্টের রুমে সিসি ক্যামেরা ছিলো। ডাকাতরা ওই রুমসহ প্রত্যেকটি স্থানের সিসি ক্যামেরার উপর স্প্রে করে রঙ ছিটিয়ে দেয় এবং ডিভিআর নিয়ে যায়।
ডিপো ম্যানেজার আবুল কালাম আজাদ জানান, ভোল্টের ভেতর কোম্পানির প্রায় ১৫ লাখ টাকা ছিলো।
ডিবি পুলিশের এসআই মো. মফিজুল ইসলাম জানান, প্রহরী সোহেল রানা ও সজীব বিশ্বাসের কাছ থেকে জানতে পেরেছেন ডাকাতরা চলে যাওয়ার পর তারা দুই জন বাঁধন খুলে ম্যানেজারকে ঘটনাটি জানান। এরপর ম্যানেজারসহ অন্যরা ডিপোতে আসেন। তিনি বলেন, পাশের একটি ভবনের সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায় ডাকাতরা রাত আড়াইটার দিকে আসে এবং ৪টা ২২ মিনিটের দিকে চলে যায়। তাদেরকে ডিপোর ভোল্ট ট্রাকে করে নিয়ে যেতে দেখা গেছে।
উপশহর পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই কামাল হোসেন জানান, ডাকাতরা মুখোশ পরিহিত ছিলো এবং তাদের প্রত্যেকের পায়ে মোজা ছিলো।
কোতয়ালি থানা পুলিশের ইনসপেক্টর (তদন্ত) কাজী বাবুল হোসেন জানান, খবর পেয়ে রোববার সকালে পুলিশ সুপার জিয়াউদ্দিন আহমেদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কত টাকা ডাকাতরা নিয়ে গেছে তার সঠিক হিসাব পাওয়া যায়নি।