যশোরে ব্যবসায়ী নেতা সজল হত্যায় জড়িত দুজনসহ আটক ৫, আগ্নেয়াস্ত্র ও চাকু উদ্ধার

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোর শহরতলীর খোলাডাঙ্গায় ব্যবসায়ী নেতা ও জামায়াত কর্মী আমিনুল ইসলাম সজল হত্যাকান্ডে জড়িত দুুই সন্ত্রাসীকে আটক করে ডিবি পুলিশ। তাদের একজনের মোবাইল ফোনে পাওয়া যায় নিজেদের অস্ত্র প্রশিক্ষণের ধারণকৃত ভিডিও চিত্র। এরই সূত্র ধরে পরে ২টি আগ্নেয়াস্ত্র এবং হত্যায় ব্যবহৃত ১টি চাকু উদ্ধারসহ আরও ৩ জনকে আটক করেছে ডিবি পুলিশ। ডিবি পুলিশ জানিয়েছে গত বুধবার রাতে খোলাডাঙ্গা এলাকায় এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
আটকরা হলেন- খুলনার তেরখাদা উপজেলার আছাবুর রহমান হাসিবের ছেলে বর্তমানে যশোর শহরতলীর খোলাডাঙ্গা সরকারি ক্লিনিকের সামনে নানা আবুল বাশার বাবুর বাড়িতে বসবাসকারী সাদমান রহমান সাকিন (১৯), খোলাডাঙ্গা মফিজ পাড়ার আমজাদ হোসেনের ছেলে আল আমিন হোসেন (১৮), লুৎফর রহমানের ছেলে রায়হান আহমেদ (২১), খোলাডাঙ্গা গাজীর বাজার এলাকার ইসমাইল হোসেনের ছেলে রিয়াদ হাসান (২১) ও খড়কি সার্কিট হাউজ পাড়ার বাবলু মোড়লের ছেলে আব্দুর রহমান সাগর (২১)।
ডিবি পুলিশের এসআই মফিজুল ইসলাম জানান, তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে তারা জানতে পারেন, খোলাডাঙ্গা বাজার ব্যবসায়ী কমিটির সভাপতি ও জামায়াত কর্মী আমিনুল ইসলাম সজল হত্যার আগে এবং পরে সাকিন নামে এক যুবকের সাথে মোবাইল ফোনে কথা হয়েছে এজাহারভুক্ত আসামি লাবিবের। এর প্রেক্ষিতে তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে গত বুধবার রাতে খোলাডাঙ্গা রেললাইন এলাকায় অভিযান চালিয়ে সাকিনসহ দুই জনকে আটক করে ডিবি পুলিশ। অপর আটকের নাম আল আমিন। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা সজল হত্যায় জড়িত ছিলেন। এরই মধ্যে আটক সাকিনের মোবাইল ফোন সেট পরীক্ষা করে ভেতরে তাদের অস্ত্র প্রশিক্ষণের ধারণকৃত ২টি ভিডিও চিত্র পাওয়া যায়। ওই ভিডিওতে দেখা যায়, খোলাডাঙ্গা মফিজ পাড়ার রায়হান আহমেদের ঘরের ভেতর কয়েকজন উপস্থিত রয়েছে এবং অস্ত্র প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এরা হচ্ছে, রায়হান আহমেদ, সাদমান রহমান সাকিন, রিয়াদ হাসান, আব্দুর রহমান সাগর, আল আমিন হোসেন, সাহমান সিদ্দিকী লাবিব ও স্বরন। এরপর সাকিন ও আল আমিনের স্বীকারোক্তিতে রায়হান আহমেদের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক এবং ১টি রিভলবার ও ১টি ওয়ান শ্যূটারগান উদ্ধার করা হয়। এছাড়া তার বাড়িতে পাওয়া যায় আব্দুর রহমান সাগরকে। পরে খোলাডাঙ্গা থেকে আটক করা হয় ভিডিওতে দেখা অস্ত্র প্রশিক্ষণে উপস্থিত রিয়াদ হাসানকে। এরপর হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি লাবিবের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ১টি বার্মিজ চাকু উদ্ধার করা হয়। তবে বাড়িতে লাবিবকে পাওয়া যায়নি।
তিনি জানান, আটক সাকিন ও আল আমিনকে সজল হত্যার বিষয়ে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, হত্যাকান্ডের সাথে মোট ১১ জন জড়িত ছিলো। এরা হচ্ছে- সাকিন, আল আমিন, লাবিব, ডিজে হৃদয়, ইমন, স্মরণ, রবিন, ডাকু, জয়, কপিল ও বাংলা। তিনি আরও জানান, ঘটনার ১৫/২০ দিন আগে খোলাডাঙ্গা এলাকার জনৈক ফখরুল ইসলামের একজন আত্মীয়কে পথরোধ করে তার ব্যাগ তল্লাশি করে স্মরণ ও রবিন। এ বিষয়ে সজলের কাছে অভিযোগ করা হলে তিনি স্মরণ, লাবিব ও রবিনকে চড়থাপ্পর মারেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তারা সহযোগীদের নিয়ে গত ৪ নভেম্বর সজলকে এশার নামাজ আদায় করতে মসজিদে যাওয়ার পথে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে।